টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য বালু চাপা দিয়েছেন স্ত্রী। পরে স্ত্রীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম নাঈম হোসেন (২০)। তিনি উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার চর ডাকাইতাবান্দা এলাকা থেকে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যার ঘটনায় স্ত্রী রেশমি খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাসুদ অর্জুনা ইউনিয়নের চরভরুয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। এবং স্ত্রী রেশমি খাতুন একই ইউনিয়নের রামাইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
জানা গেছে, নাঈম ও রেশমি তিন মাস আগে প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ডিসেম্বর স্ত্রী রেশমিকে নিয়ে নাঈম রামাইলে শ্বশুরবাড়ি যান। বিকেলে রেশমি নাঈমকে নিয়ে ঘুরতে বের হন। এরপর রাতে বাড়ি ফিরে রেশমি জানায় তার স্বামী নাঈম চলে গেছে। এরপর থেকে নাঈমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
গ্রেপ্তার রেশমির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, রেশমি পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। প্রেমিকের সহায়তায় স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
এর আগে স্বামী নাঈমকে নিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী চরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান। এরপর সরিষাবাড়ির সীমান্ত এলাকায় গিয়ে প্রেমিকের সহায়তায় হত্যার পর মরদেহ বালু চাপা দিয়ে রেশমি বাবার বাড়িতে চলে যান।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। স্বামীকে বেড়ানোর কথা বলে নিযে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায়। পরে তার মরদেহ গুম করার জন্য বালু চাপা দিয়ে দেন। সন্দেহ হলে রেশমিকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩