ইদানীং হতাশা যেন গ্রাস করছে তারকাদের। কয়েক দিন পরপরই মৃত্যুর খবরে শিরোনাম হচ্ছেন মডেল ও অভিনয়শিল্পীরা। সপ্তাহ দুয়েক আগেই হতাশায় নিজের জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী হোমায়রা হিমু। এবার ফ্ল্যাট থেকে মডেল সুমাইয়া আমরিনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কাজ নিয়ে হতাশা এবং পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন আমরিন বলে ধারণা পুলিশের। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেলেও মডেলের মৃত্যুর পর থেকেই পলাতক রয়েছেন আমরিনের স্বামী।
জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে র্যাম্প মডেলিং এবং ব্র্যান্ড ফটোশুটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আমরিন। পাশাপাশি উপস্থাপনাও করতেন। দুই বছর হলো তিনি ফেসবুক ও ইউটিউবের জন্য নির্মিত ভিডিও কনটেন্টে অভিনয় করতেন।
তার কাছের বেশ কয়েকজন বন্ধু বলেন, ২০১৩-১৪ সালের দিকে কাজ শুরু করেন আমরিন। কিন্তু তেমন কোনো ভালো কাজ পেতেন না বলে দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ছিলেন। নানাভাবে চেষ্টা করতেন ভালো কাজের। তার লক্ষ্য ছিল দেশের একজন টপ মডেল হওয়া।
গত ৭ নভেম্বর মোহাম্মদপুরের শেখের টেকের ২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে আমরিনের মরদেহ উদ্ধার করে আদাবর থানা পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দুই-তিন দিন আগে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে বিছানায় শোয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে আমরিনের মরদেহ।
আদাবর থানার এসআই জাকির হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত ও পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেছে। হতাশা ও দাম্পত্য কলহ থেকে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। তার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, সুমাইয়ার মা জানিয়েছেন দুই মাস হলো তার মেয়ে বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর থেকে কলহ চলছিল দুজনের। পাশাপাশি মডেলিং নিয়ে হতাশা ছিল। সব মিলিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। এর আগে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
এদিকে আমরিনের ফেসবুক আইডিতে পেশা হিসেবে দেওয়া আছে ‘ওয়ার্ক এট রানওয়ে বাই বুলবুল টুম্পা’। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন দেশের স্বনামধন্য কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পা।
তিনি বলেন, আমরিন করোনার আগে আমার এখানে এসেছিল। তবে আমার এখানে বা আমার সঙ্গে কাজ করত না। এ রকম অনেকেই আসেন, দু-এক দিন কাজের ক্লাস করে চলে যান। তাকে আমি সেভাবে চিনি না।
প্রসঙ্গত, সাভারে মায়ের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে আমরিনের মরদেহ।