প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি এখন অবরোধ দিয়েছে। এর আগেও তারা অবরোধ দিয়েছিল। খালেদা জিয়া অবরোধ দিয়ে সঙ্গে ৬০-৬৫ জন নেতাকে নিয়ে অফিসে বসে থাকত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারাই অবরুদ্ধ হয়েছিল। জনগণ কিন্তু তাদের অবরোধ মানেনি।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে হাসপাতালে বোমা মেরেছে। যেখানে মা ভেবেছিল এখানে আমার বাচ্চাকে নিয়ে থাকলে হয়তো নিরাপদ থাকব। কিন্তু ইসরায়েল সেখানেই বোমা মেরে তাদের হত্যা করেছে। আর আমাদের দেশে কী দেখলাম? বিএনপি-জামায়াত পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আগুন দেয়, অ্যাম্বুলেন্স পোড়ায় ও ভাঙচুর করে। তাহলে এরা কোথা থেকে কী শিক্ষা পাচ্ছে, সেটাই আমাদের প্রশ্ন। আমরা যখন বিশ্বের কোথাও নির্যাতন হলে পাশে দাঁড়াই। ফিলিস্তিনের জন্য আমরা খাবার-ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠিয়েছি। আমরা যখন ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়াই, তখন এদের (বিএনপি) মুখে কিন্তু এই ব্যাপারে একটা কথাও নাই।
তিনি বলেন, এই যে ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর এতো অত্যাচার-নির্যাতন, নারী-শিশু হত্যা। তারা (বিএনপি) কি একবারও প্রতিবাদ করেছে, করেনি। তাহলে তারা কাদের তাঁবেদারি করে? কাদের পদলেহন করে লাফালাফি করে, সেটাই প্রশ্ন।
সরকারপ্রধান বলেন, এটা ভুললে চলবে না বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। অনেক দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণই সমস্ত ক্ষমতা রাখে। বাংলাদেশের জনগণই কিন্তু এই দেশ স্বাধীন করে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। আজকে যখন দেশ গত ১৫ বছরে অনেক এগিয়ে গেছে, দেশের মানুষ শান্তিতে আছে, তখনই তারা অস্বস্তিতে ভোগে। বিএনপি-জামায়াতের যন্ত্রণা হয়।