বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মৃত্যু ঘটেছে বলে দাবি করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না। আগামী মাসের মধ্যে এই সরকারকে যেতে হবে। এবারই শেষ লড়াই।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গণমিছিল কর্মসূচির আগে এই সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
ক্ষমতায় থাকতে সরকার বিভিন্ন দেশের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শরিক দলের নেতারা চীনে যাচ্ছেন। সরকারের মন্ত্রীরা ভারতে যাচ্ছেন। সারা দুনিয়ার কাছে ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে। আদালত, নির্বাচন কমিশনের মতো জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার যত প্রতিষ্ঠান, সব ধ্বংস করেছে এই সরকার।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা নীতি-নৈতিকতা, কূটনৈতিক শিষ্টাচার ভুলে গেছেন। এই সরকারের মৃত্যু ঘটেছে। আগামী মাসের মধ্যে এই সরকারকে যেতে হবে।
বিরোধীদের দমন-পীড়ন করে সরকার তাদের শেষ রক্ষা করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, সরকার আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচন করার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ নয়, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, আমলা-পুলিশের একটি রাজনৈতিক সিন্ডিকেট দেশ চালাচ্ছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকার ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় থাকার প্রয়াস চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ এবার আর কোনো ছলচাতুরীর নির্বাচন করতে পারবে না।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল প্রেসক্লাব থেকে পল্টন মোড় হয়ে কাকরাইল গিয়ে শেষ হয়।