রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় চলন্ত ফেরিতে ছিনতাইকারী সন্দেহে বাধন মোল্লা (৩০) নামে এক যুবককে মারধর করেন যাত্রীরা। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। পরে খবর পেয়ে ট্রলার নিয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা।
শনিবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
বাধন মোল্লা বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার তালুকদার পাড়ার মালেক মোল্লার ছেলে।
ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, আমি দোকানে বসেছিলাম। হঠাৎ নদীতে এক ব্যক্তিকে ভেসে যেতে দেখি। তখন ট্রলার নিয়ে ওই ব্যক্তিকে নদী থেকে উদ্ধার করি। আরেকটু হলে স্রোতে তলিয়ে যেত। কিন্তু পাড়ে আনার পর জানতে পারি ওই ব্যক্তি ছিনতাইকারী। পরে তাকে নৌ-পুলিশে সোপর্দ করি। মানবিকতার জায়গা থেকে তাকে আমি উদ্ধার করেছি। সে ছিনতাইকারী হলেও তো মানুষ।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর সিরাজুল কবির বলেন, পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া রো রো ফেরি বরকত থেকে ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় ওই যুবক নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী ট্রলার নিয়ে তাকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। এখন ওই যুবক আমাদের হেফাজতে আছে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করছি ফেরিতে ওই যুবক ছিনতাই করতে গিয়ে যাত্রীদের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে।