ঝড়-বৃষ্টিতে যদি কাঁচা মরিচ পচে যায়, তাহলে আমি কী করব? আমাদের সচিবই কী করবেন?—সাংবাদিকদের উদ্দেশে আজ বুধবার এমন প্রশ্ন রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আজ দুপুরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ–সংক্রান্ত বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে না। তারপরও এই মন্ত্রণালয়ের ঘাড়েই দায়টা আসে।
সম্প্রতি কাঁচা মরিচের প্রসঙ্গে তাঁর মন্ত্রণালয়ের কথা এসেছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কথা বলা হচ্ছে। এখন ঝড়-বৃষ্টিতে যদি কাঁচা মরিচ পচে যায়, তাহলে আমি বাণিজ্যমন্ত্রী বা আমাদের সচিব কী করবেন? আর কাঁচা মরিচ এক হাজার টাকা কেজির যে কথা বলা হচ্ছে, তা কিন্তু এক বা দুই দিনের কথা।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে টিপু মুনশি বলেন, ‘যে কয়েক দিন আমাদের এখানে (কাঁচা মরিচের) দাম বেড়েছিল, সেই কয়েক দিন গুগল খুলে দেখুন যে কলকাতায় বাজারে কেমন ছিল দাম। আমি তো কলকাতার বাণিজ্যমন্ত্রী না, তাহলে সেখানে দাম বাড়ল কীভাবে?’
চিনির দামের ক্ষেত্রে কোনো সুখবর আসবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিনির ব্যাপারে আমরা বারবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেছি। ভারত থেকে চিনি আনতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু ভারত চিনি দিচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
ভোজ্যতেলের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক বাজারে কমায় গতকাল ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানো হয়েছে।