অতীত অভিজ্ঞতায় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থীর
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের উপনির্বাচনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে নিকট অতীতের অভিজ্ঞতার কারণে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে জনগণের মনে সংশয় আছে।
আজ বুধবার দুপুরে নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণার সময় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এ সংশয় প্রকাশ করেন মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন।
চট্টগ্রাম নগরের চেরাগী পাহাড়ের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন অভিযোগ করেন, অতীতের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে অবাঞ্ছিত লোকজনের উপস্থিতি দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মইন উদ্দীন খান বাদল। ২০১৯ সালে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর এ আসনে উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের মোছলেম উদ্দিন আহমদ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। ২৭ এপ্রিল এ আসনের উপনির্বাচন।
উপনির্বাচনে ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী ১৩ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে কালুরঘাটে সেতু নির্মাণ, কর্ণফুলী নদী দখল ও দূষণমুক্ত রাখা এবং নির্বাচনী এলাকায় রোহিঙ্গাদের অবৈধ বসবাস বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন বলেন, ‘আমরা জনগণের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছি। তারা সংশয় প্রকাশ করছে। সেই সংশয় হলো তারা ভোট দিতে পারবে কি না। সংশয়ের কারণ, অতীতের অভিজ্ঞতা। আমরা তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছি। কিন্তু তারা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। ভোটের প্রতি তাদের আগ্রহ কম।’
ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী আরও বলেন, ‘ভোটারদের আগ্রহ সৃষ্টি করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নিতে হবে। আশ্বস্ত করতে হবে যে জনগণ ভোট দিতে পারবে। তাহলে জনগণ কেন্দ্রে আসবে, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে।’
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম–৮ আসনটিতে মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৯০টি। ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন।
অতীতের অভিজ্ঞতা কেমন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফরিদ উদ্দীন বলেন, ‘সম্প্রতি নির্বাচনে আমি বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গেছি। দেখা গেছে, অবাঞ্ছিত কিছু মানুষের প্রবেশপথে অবস্থান। তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। জনগণ এসে দেখেছে প্রবেশপথে অবাঞ্ছিত মানুষের উপস্থিতি। ফলে তারা সেখান থেকে ফিরে যায়। প্রায় ক্ষেত্রে এটা দেখেছি। এবার যেন সে রকম না হয়।’
এই অবাঞ্ছিত ব্যক্তি কারা ছিলেন, তা বলতে রাজি হননি ফরিদ উদ্দীন। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এবার আশা করছি, সরকার স্বচ্ছ নির্বাচনের একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এ ধরনের (অবাঞ্ছিত ব্যক্তির উপস্থিতি) কোনো ঘটনা ঘটবে না। গণতন্ত্রের স্বার্থেই সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য। সরকারের ভাবমূর্তির জন্য অপরিহার্য। পরে জাতীয় নির্বাচন আসছে। সেই নির্বাচনের জন্য এই নির্বাচনটা সরকারের মর্যাদার বিষয়।’