সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দল অংশ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর শাহ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এক রকম নিরুত্তাপ ভোটে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন খায়রুজ্জামান। ২১ জুন ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। আজ ঈদের নামাজ শেষে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। এ সময় খায়রুজ্জামান বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে ৫০ শতাংশের আশপাশে ভোট পড়েছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনে সর্বোচ্চ ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে। রাজশাহীতে ভোটের দিন বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ বৃষ্টি না এলে আরও একটু বেশি ভোট পড়ত। কাজেই যারা (বিএনপি) নির্বাচন নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা বলছে, তারা না এলে যে নির্বাচন হবে না, জনগণ আসবে না, এমনটি নয়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলই অংশ নেবে। সামনের নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশেই হবে।
নগরীতে ঈদের এই প্রধান জামাতে ইমামতি করেন মহানগরীর হেতমখাঁ বড় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা ইয়াকুব আলী। ঈদের নামাজের পর মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খায়রুজ্জামান লিটন।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, কোরবানির ঈদের পশুর চামড়া সাধারণ মানুষ তাঁর পরিবারের জন্য রাখেন না। তাঁরা এটি মসজিদ, মাদ্রাসায় দান করে দেন। যখন তাঁরাও এর দাম ঠিকমতো পান না, তখন এটা সংরক্ষণ ঠিকমতো হয় না। অতীতে কিছু সিন্ডিকেট এই চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে। ফলে দেশও উপকৃত হয়নি। চামড়ার চোরাচালান বন্ধ করতে হবে এবং চামড়া ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে হবে।
একই জায়গায় নামাজ পড়েন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ। তিনি চামড়ার চোরাচালান নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবারও অন্যান্য দেশ থেকে গরু আসতে পারেনি। এ কারণে এখানকার খামারিরা তাঁদের প্রকৃত দাম পেয়েছেন। আশা করি, চামড়া নিয়েও এটি হবে না। পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্যান্য দেশে পাচারের আশঙ্কা নেই। সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও আমরা এ বিষয়ে সজাগ আছি।’
নগরের পদ্মা আবাসিক এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান (মিনু)। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ একটা মহাবিপদের মধ্যে আছে। আল্লাহ যেন এই পরিস্থিতি থেকে সবাইকে উদ্ধার করেন। ঈদের পর সর্বাত্মক আন্দোলন–সংগ্রাম শুরু হবে।’
নগরের বাদুড়তলা ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করেছেন বিএনপির রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক এরশাদ আলী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ত্যাগের মহিমায় সবাই যেন আজকে উপভোগ করতে পারেন। তার সঙ্গে বর্তমান স্বৈরশাসক সরকারের কাছ থেকে দেশবাসী যেন মুক্তি পান, সেই প্রত্যাশাও থাকবে। আমাদের ঈদের পর আন্দোলন–সংগ্রামে মানুষকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’