লক্ষ্মীপুর শহরের সামাদ মোড় এলাকার একটি স্বর্ণের দোকানের সামনে ও ভেতরে এলোপাতাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির পর ওই দোকান লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতেরা। আজ বুধবার রাত ৯টার দিকে শহরের ‘আর কে শিল্পালয়ে’ এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ওই স্বর্ণের দোকানের মালিক অপু কর্মকারকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। তবে দুর্বৃত্তরা কী পরিমাণ স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে দোকান লুট করে দুর্বৃত্তরা পিকআপ ভ্যানে করে পালানোর সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। পরে ইটের পোল নামক এলাকায় গিয়ে পিকআপটি দুজন পথচারীকে চাপা দিয়ে উল্টে যায়। ওই পথচারীদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। এ সময় দুজনকে আটক করে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা। তাদের কাছ থেকে স্বর্ণ ও ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, রাতে একটি পিকআপ ভ্যানে করে ৮ থেকে ১০ জন অস্ত্রধারী ডাকাত এসে এলোপাতাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ককটেলের ধোঁয়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। পরে দুর্বৃত্তরা আর কে শিল্পালয়ে ঢুকে স্বর্ণালংকার লুট করে পিকআপ ভ্যান যোগে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় দোকানমালিক অপু কর্মকারকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ জানায়, পিকআপ ভ্যানে করে পালানোর সময় শহরের ইটের পোল এলাকায় গিয়ে দুজন ব্যক্তিকে চাপা দেয় ডাকাতেরা। এতে সফি উল্লাহ (৭০) ও মো. ইসলাম (৫০) নামের ওই দুই পথচারী গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক ছবি উল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, অপু কর্মকারের মাথা ও দুই হাতে জখম হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর সফি উল্লাহকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ক্রেতা সেজে কয়েকজন স্বর্ণের দোকানে ঢোকে। আর চার–পাঁচজন বাইরে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করে প্রথমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে স্বর্ণের দোকানে লুট করে পিকআপ ভ্যানে করে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশের ধাওয়ায় পালানোর সময় ইটের পোল এলাকায় তারা দুজন পথচারীকে চাপা দেয়। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।