তারকাদের সংসার নাকি বেশি দিন টেকে না। এমন ধারণা অবশ্য ভুল প্রমাণ করলেন অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন। ১৯৭৩ সালের ৩ জুন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তাঁরা। সে হিসেবে তাঁদের বিয়ের ৫০ বছর পূর্ণ হলো আজ।
দাম্পত্যজীবনের ৫০ বছর পার করলেও অমিতাভের শর্ত মেনে একসঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন জয়া। অমিতাভ-জয়া দুজনই বিনোদন–জগতের মানুষ হলেও অমিতাভ জয়াকে শর্ত দিয়েছিলেন কাজ নিয়ে। অমিতাভ বলেছিলেন, নিয়মিত কাজ করা যাবে না। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা কাজে যাওয়া যাবে না। এমনকি সব প্রজেক্টেও কাজ করা যাবে না। আর জয়া তা মেনেও নেন।
অমিতাভ-জয়ার বিয়ে করার কথা ছিল ১৯৭৩ সালের অক্টোবরের দিকে। কারণ, ওই সময় জয়ার কাজের শিডিউল ফাঁকা ছিল। কিন্তু মজার এক কারণে অক্টোবরের বিয়ে এগিয়ে আসে জুনে। গত বছর একটি পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা বলেন জয়া বচ্চন। জয়া বচ্চন জানান, ‘জঞ্জির’ সিনেমার সাফল্যের পর সবাই মিলে লন্ডন ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন। এই সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন অমিতাভ-জয়া।
সব ঠিকঠাক, এমনকি বিমানের টিকিটও কেটে ফেলেন তাঁরা। পরদিন রাতে ফ্লাইট। ভ্রমণের এক দিন আগেই বাদ সাধেন অমিতাভের বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন। তাঁর কথা, বিয়ের আগে জয়ার সঙ্গে বিদেশে ভ্রমণে যাওয়া যাবে না।
এখন মা-বাবার কথা রাখতেই হবে। তাই তো পরদিন সকালেই পুরোহিত ডেকে কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে সাধারণভাবেই বিয়ে করে নেন অমিতাভ-জয়া। বিয়ে করে রাতেই লন্ডনের উদ্দেশে বিমানে চড়ে বসেন অমিতাভ-জয়া।
প্রেম-ভালোবাসা, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, বিশ্বাস আছে বলেই সুখে-শান্তিতে চলছে তাঁদের এই দাম্পত্যজীবন। তাঁদের এই সুখের সংসারে ভাঙন ধরাতে এসেছিলেন অনেকেই। অমিতাভের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল পরকীয়ার। কিন্তু তবুও তাঁদের এই সংসার টিকে রয়েছে।
অমিতাভ-জয়ার ৫০ বিবাহবার্ষিকীতে ভক্তরা শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিচ্ছেন এ দম্পতিকে। সবার মতো মেয়ে শ্বেতা বচ্চনও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মা-বাবাকে জানিয়েছেন শুভেচ্ছা। তবে তিনি মা-বাবার এক রহস্য ফাঁস করে দিয়েছেন। তিনি তাঁর পোস্টে জানান, মা-বাবার কাছে তিনি জানতে চেয়েছিলেন সংসার টিকিয়ে রাখার মূলমন্ত্র। জয়া বচ্চন শ্বেতার এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ‘প্রেম-ভালোবাসা।’ কিন্তু অমিতাভ বললেন আরেক কথা। অমিতাভের কথায়, ‘স্ত্রীরা সব সময় সঠিক। আর এটা মেনে চললেই সংসারে হবে না কোনো অশান্তি।’
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ইন্ডিয়া টুডে