জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটা অত্যন্ত দুঃসময় পার করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো যাচ্ছে না। মধ্যবিত্তরা এখন নিম্নবিত্ত নয়, দরিদ্র হয়ে গেছে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে কাজ করতে চাই।’
শনিবার দুপুরে নরসিংদী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন জি এম কাদের।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন দলটির মহাসচিব সংসদ সদস্য মুজিবুল হক। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক মিয়া।
জি এম কাদের বলেন, এখন যে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে, তাতেই কুলিয়ে উঠতে পারছে না সাধারণ মানুষ, এই বাজেটের ফলে যখন আরও বাড়তি ট্যাক্স দিতে হবে এবং জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হবে, মূল্যস্ফীতি যখন আরও বাড়বে, তখন সাধারণ মানুষ কী করবে? এ বাজেট জনবান্ধব হয়নি।
দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নেতা-কর্মীদের সহযোগিতা চেয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবেই। আগে-পরের কার্যক্রম বিচার-বিশ্লেষণ করে এই কাউন্সিল থেকে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। তবে কাউন্সিল থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন সামনের নির্বাচন। প্রতিটি আসনে আমাদের প্রার্থী দিতে হবে। কোনো আসনে যদি দুজন প্রার্থী হতে চান, তাহলে দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, তাঁর পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে যদি হিংসা থাকে, তাহলে নিজের ও দলের ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে।’
প্রধান বক্তা মুজিবুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ৩৩টা বছর দেশ শাসন করেছে। দুটি দল লুটপাট করে খেতে খেতে পাগল হয়ে গেছে। কিন্তু তারা এখনো জানে না কী পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে। একদল বলে তত্ত্বাবধায়ক, আরেক দল বলে সংবিধান। আর আমরা বলি তত্ত্বাবধায়ক আর সংবিধান নয়, মানুষের মুক্তি চাই, মানুষের ভোটাধিকারের প্রয়োগ চাই।’
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইসলাম, নাজমা আক্তার, লিয়াকত হোসেন, আলমগীর সিকদার প্রমুখ। নতুন নেতৃত্বের নাম কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হবে জানিয়ে অতিথিরা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন।