নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার প্রশ্ন, সরকারকে বিশ্বাস করবে কে? তারা বিপদে পড়লে নানান অঙ্গীকার আর প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে সব ভুলে যায়।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর তোপখানায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মাহমুদুর রহমান এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্য প্রতিষ্ঠার ১১তম বার্ষিকীতে ‘অবিলম্বে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ঘোষণা কর’ শীর্ষক শিরোনামে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বাজেট প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান বলেন, বাজেটে গরিব মানুষের জন্য কিছু নেই। যে বাজেট ঘোষণা করেছে, এটা গরিব মারার বাজেট। যার কোনো আয় নেই, তাকেও দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে। তবে ব্যবসায়ীদের ব্যবসার জন্য এই বাজেট ঠিকই ভালো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসা নীতি নিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, নতুন ভিসা পলিসি দেওয়াতেই তারা (সরকার) দম নিতে পারছে না। বাঁচবে কীভাবে সেই চিন্তায় আছে। সরকারের মুখের হাসি আর নেই। প্রধানমন্ত্রী কম কথা বলছেন, তাঁদের দিন যে শেষ হচ্ছে, সেটা তাঁরাও বুঝতে পারছেন।
‘১০ দিন চোরের, ১ দিন গৃহস্থের’ উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। এই সরকার তার ক্ষমতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে দিয়ে বিদায় নিক। আর তা না করলে করুণভাবে বিদায় নিতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিল্লুর চৌধুরী বলেন, এবারের বাজেটে সাধারণ মানুষের উন্নয়নের জন্য নতুন কিছু নেই। বাজেটে শুধু একটি জিনিস আছে, সেটা হচ্ছে চাঁদাবাজি। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সরকার এই চাঁদাবাজি করবে।
‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য যে নতুন ভিসা নীতি দিয়েছে, তা দেশের জন্য অপমানজনক’ উল্লেখ করে জিল্লুর চৌধুরী আরও বলেন, সরকার দেশকে সারা বিশ্বের কাছে অপমানিত ও ছোট করেছে। এর দায় নিতে হবে।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই সরকারকে বেঁধে ফেলেছে। এখন সময় আন্দোলন করার। এরপরও এই সরকারের পতন করতে না পারলে দেশের মানুষ কখনোই স্বাধীনতা পাবে না।
নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মমিনুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা।