রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ট্রেনে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দিনের ঈদযাত্রা। আর প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) ভোর ৬টায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে স্টেশন ত্যাগ করে। এর ফলে পরবর্তী আন্তঃনগর ট্রেনগুলোও কিছুটা দেরি ছেড়েছে। এতে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
চট্টগ্রামের যাত্রী আব্দুল্লাহ আল আলিফ বলেন, আমাদের রুটে দুর্ঘটনার জন্য শুনেছি ট্রেন বিলম্ব হচ্ছে। অন্যান্য ট্রেনগুলো দেখলাম কম সময়ের বিলম্বে ছেড়েছে। ২০ থেকে ২৫ মিনিট বিলম্ব মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু ঘণ্টার বেশি দেড়ি হলে খুবই বিরক্তিকর বিষয়।
এদিন চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী (৭০৪) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটিকে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে শিডিউল দেওয়া হয়। অন্যদিকে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ৬টা ২০ মিনিটে (সঠিক সময়ে), নীলফামারীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ২০ মিনিট বিলম্বে ৮টায়, চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ৫৫ মিনিট বিলম্বে ৮টা ১০ মিনিটে, কিশোরগঞ্জগামী এগারো সিন্ধুর প্রভাতী ৭টা ২০ মিনিটে এবং দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ১৫ মিনিট বিলম্বে ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা স্টেশন ছেড়ে গেছে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার বলেন, ২-১টি ট্রেন ছাড়া বাকি সব ট্রেন সঠিক সময়ে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে। ২০-৩০ মিনিটকে বিলম্বে বলা যায় না। চট্টগ্রাম রুটে দুর্ঘটনার কারণে সোমবার দুই ঘণ্টা বিলম্ব হয়েছিল। সেটা কমে আজ এক ঘণ্টা হয়েছে। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।