অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক মাহফুজ আলম বলেছেন, আমাদের অনিরাপদ করলে বাংলাদেশে ভারত ও ভিনদেশের স্বার্থ রক্ষাকারীদের নিরাপদে থাকতে দেওয়া হবে না।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, আমাদের হাতে যখন এই মুজিববাদী, এই আওয়ামী লীগ, এই ১৪ দলীয় সন্ত্রাসীদের প্রত্যেকের বাড়ি চুরমার করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল, তখন আমরা নিজেদের সংবরণ করার কারণে আজ তারা এটি করার (শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি) সাহস করেছে। ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, তাহলে আমরা প্রতিজ্ঞা নেব, আর ক্ষমা করবো না।
তিনি বলেন, দেশের ভেতরের রাজনৈতিক লড়াই কেউ কেউ দেশের বাইরে নিয়ে গেছে, তাদের হুঁশিয়ার করতে চাই, মুক্তির লড়াইও কিন্তু দেশের বাইরে যাবে।
মাহফুজ বলেন, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরা কিন্তু লাশ নেব। কোনো সুশীলতা করে লাভ নেই। অনেক ধৈর্য হয়েছে। অনেক রিকনসিলিয়েশন, অনেক কথা বলেছি। আমরা বলেছি, আইসিটি ট্রাইব্যুনালে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিচার করুন। কিন্তু একদিকে বিচার চলছে, অন্যদিকে আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে ভারত পালিয়ে আশ্রয় নেবেন, ভারত থেকে সন্ত্রাস করবেন, ভাইয়ের ওপর গুলি চালাবেন, আমরা এটা বরদাশত করব না।
‘বাংলাদেশে ভারতের এবং ভিনদেশিদের স্বার্থ যারা রক্ষা করবে, তাদের নিরাপদে থাকতে দেওয়া হবে না। আমরা যদি নিরাপদ না থাকি, এই দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকতে পারবে না’, যোগ করেন তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভেতর দিয়ে ১৯৭২-এর সংবিধানের ভিত্তিতে যে মুজিববাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তার মধ্যে দিয়ে হাজার হাজার মানুষের লাশ বাংলাদেশে ফেলা হয়েছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ বজায় রাখার জন্য সাংস্কৃতিক কর্মী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক থেকে শুরু করে সবাইকে কব্জা করা হয়েছে। একটা অংশ তাদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। আরকেটা অংশ বাংলাদেশের মধ্যে থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ওসমান হাদি দাঁড়িয়েছিল।