আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
স্ট্যাটাসে তিনি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার মানুষদের প্রতি সংহতি প্রকাশের পাশাপাশি বাংলাদেশে দীর্ঘ সময়ের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন— “১০ ডিসেম্বর ‘মানবাধিকার দিবস’। এটি জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস। ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য— ‘মানবাধিকার: আমাদের প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য’।”
তিনি এই প্রতিপাদ্যের আলোকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্যাতিত ও অধিকারবঞ্চিত মানুষের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জানান এবং বলেন, “বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও যেন ভবিষ্যতে আর কেউ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, সেজন্য মানবাধিকার রক্ষা আমাদের প্রতিদিনের জন্য অপরিহার্য।”
স্ট্যাটাসে তারেক রহমান উল্লেখ করেন, “আমাদের দেশ দীর্ঘ দেড় দশক ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের কালো অধ্যায় পার করেছে, যখন মানবাধিকার সমাধিস্থ করা হয়েছিল।” তার বক্তব্য অনুযায়ী সে সময় গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, ছাত্র-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ মিথ্যা মামলা, কারাবাস, নির্যাতন, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।
তারেক রহমান বলেন, “নাগরিক স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে যারা নির্দয় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নির্মম নিপীড়ণে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তাদের আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।” একই সঙ্গে তিনি এখনো যারা নিপীড়িত হচ্ছেন, তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
তিনি লেখেন, “আজ আমরা এক নতুন যাত্রায় আছি— গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকারের সুরক্ষার যাত্রা।” তার মতে, ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রব্যবস্থায় মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং দারিদ্র্যকে মানবাধিকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করে তা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, “দেশের আপামর জনগণের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দি থেকে, মিথ্যা মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে যে নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, তা এক চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কলঙ্কজনক অধ্যায়।” পাশাপাশি তিনি অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনা করেন।
সবশেষে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে দেশের মানুষ মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারে ঐক্যবদ্ধ।” মানবাধিকার সুরক্ষিত রেখে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।