খালেদা জিয়ার অসুস্থতা বিবেচনায় তফসিল: ইসিকে এনসিপির আহ্বান

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা বিবেচনায় তফসিল: ইসিকে এনসিপির আহ্বান

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে সংকট উত্তরণ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ আহ্বান জানান এনসিপির নেতারা।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনার মিডিয়ায় বলেছে, দুয়েক এক সপ্তাহের মধ্যে তফসিল ঘোষণা দেবেন। নির্বাচন কমিশন তফসিল নিয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু জানায়নি। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যেন ইসি তফসিল ঘোষণা করে।

তিনি বলেন, তফসিল এমন সময়ে দেওয়া হোক যখন দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকবে এবং সব দল যেন রাজনৈতিকভাবে নিজেদের ফুটিয়ে তোলার সমান সুযোগ পায়। 

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীর উদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সম্মান জানানোর উদ্যোগ ইতিবাচক। যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন তাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা পোষণ করতে চাই। বেগম জিয়ার প্রতি আবেগ–অনুভূতি শুধু বিএনপির একার নয়। তার প্রতি দেশের সব মানুষেরই আবেগ, অনুভূতি আছে।

তিনি বলেন, তফসিল নিয়েও কথা হয়েছে। একটা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যখন আসবে তখন যেন তফসিল দেওয়া হলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। একবার তফসিল দিলেন… গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ রয়েছেন। এখানে দেশের যে পলিটিক্যাল অ্যারেনা রয়েছে, সংকটময় পরিস্থিতি রয়েছে। সংকটময়গুলো উত্তরণ করে একটা তফসিল দিয়ে সবাইকে অনবোর্ড করে ভোটিং প্রসেসে নিয়ে যাওয়ার জন্য (বলেছি আমরা)।
তফসিল কি পেছাতে চাইছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কেন তফসিল পেছাতে চাইবো? আমরা চাই সংকট সমাধান করে তফসিল দেওয়ার জন্য।

এ সময় নাহিদ বলেন, তফসিলের সময়টায় যাতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকে এবং প্রত্যেকটা দল যাতে নির্বাচনের যাত্রা শুরু করার পরিবেশে থাকে, রাজনৈতিক পরিবেশে থাকে। সে সময়টায় তফসিল দেওয়া হলে সব দলের জন্য উপকার হয়। যে সময় তফসিল দেওয়া হয় সে সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিটা যেন বিবেচনায় রাখে।

উল্লেখ, নির্বাচন কমিশন আগামী ৭ ডিসেম্বর কমিশন সভা করে ১১ ডিসেম্বরের দিকে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে ভোট করার কথা ভাবছে সংস্থাটি।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS