ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অপতথ্য রোধে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে টিকটক।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান টিকটকের সাউথ এশিয়ার পাবলিক পলিসি ও গভর্নমেন্ট রিলেশনস হেড ফেরদৌস মুত্তাকিম। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্য চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফেরদৌস মুত্তাকিম বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করা যেন টিকটক প্ল্যাটফর্মকে কোনোভাবেই নির্বাচনসম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর তথ্য, মিসইনফরমেশন বা ম্যানিপুলেশনের জন্য ব্যবহার না হয়। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান, প্রস্তুতি ও করণীয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের একটি বহুজাতিক বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ বিবেচনায় টিকটকে নির্বাচনী ইন্টিগ্রিটি কীভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে, তা উপস্থাপন করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি যে আমরা সম্পূর্ণ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যাতে প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে।
তিনি আরও বলেন, টিকটকের নিজস্ব বহুস্তরীয় সেফটি মেকানিজম রয়েছে, যা সারা বছরই মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন, ইমপারসনেশনসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর কনটেন্ট ঠেকাতে কাজ করে। নির্বাচনের সময় আমরা অতিরিক্ত নজর দিই যাতে কোনো পক্ষ সংগঠিতভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে না পারে।
ফেরদৌস মুত্তাকিম বলেন, আমাদের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টারে প্রতি কোয়ার্টারে বাংলাদেশ থেকে কত পরিমাণ কনটেন্ট বা অ্যাকাউন্ট অপসারণ করা হয়েছে তার তথ্য প্রকাশিত হয়। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, ২০২৪ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারেই আমরা বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ ভিডিও অপসারণ করেছি। এটি শুধু নির্বাচনের কারণে নয় এটি প্রতিদিনের কনটেন্ট ইন্টিগ্রিটি রক্ষার অংশ।
ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসির সঙ্গে আমরা কীভাবে কাজ করছি, আমাদের বর্তমান প্রস্তুতি ও ভবিষ্যতে আরও কী করা যেতে পারে এসব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশন, মিডিয়া এবং প্ল্যাটফর্ম সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে অনলাইন পরিবেশ সুস্থ, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য থাকে।