জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। পুরনো রাজনৈতিক ধারা, দুর্নীতি ও দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হয়ে একটি ন্যায়পরায়ণ রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। “উই নিড চেঞ্জ-এই পরিবর্তন আনতে পারবে জামায়াত”।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) খুলনা-৫ আসনের ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুর আন্দুলিয়া ফুটবল মাঠে ডুমুরিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এ ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়।
ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মোক্তার হুসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম ও জাহাঙ্গীর নগর বিশবিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) জিএস মাজহারুল ইসলাম।
বক্তৃতা করেন ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী, রাকসুর হবিবুর রহমান হল সংসদের ভিপি আহমদ আহসান উল্লাহ ফারহান, জাকসুর কার্যানির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালহা, মালয়েশিয়া প্রবাসী আবু হানিফ আকুঞ্জি, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, মহানগরী আমীর খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও গাউসুল আযম হাদী, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, খুলনা জেলা উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ফকির, ডুমুরিয়া উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান ও গাজী সাইফুল্লাহ, সেক্রেটারি ও উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সহ-সভাপতি ডা. হরিদাস মন্ডল, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি বি এম আলমগীর হুসাইন, ডুমুরিয়া উপজেলা উত্তরের ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাওলানা মফিজুর রহমান, ধামালিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাস্টার মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, মাওলানা মফিজুর রহমান। ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আহমদ আতাউল্লাহ সালমান।
এ ছাড়া শেখ সিরাজুল ইসলাম, মোস্তফা আল মুজাহিদ, ডা. সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটো, আব্দুল ওয়াদুদ সরদার, আব্দুল কাইয়ুম আল ফয়সাল, ড. ইকরাম উদ্দীন সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রশ্ন তুলে বলেন, যারা ৫৪ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তাদের আমলে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, জুলুম–নির্যাতন, টাকা পাচার এসবের দায় কে নেবে?
তিনি আরও দাবি করেন, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও মাঠদখল, বাজার-ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি আগের ধারার মতোই চলছে। তবে এ সব কর্মকান্ডের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, ভয় পাবেন না। আপনারা যেমন নৌকা, ধানের শীষ, লাঙলে ভোট দিতে পারেন, দাড়িপাল্লায় ভোট দেয়ার অধিকারও আপনাদের আছে। তিনি অভিযোগ করেন, ভীতি সৃষ্টি করে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা সামাজিক সহাবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
তিনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দিনের ভোট রাতে হলে তার পরিণতি কী হয়, দেশ তার মূল্য দিয়েছে। এবার কেউ ভোট ডাকাতির চেষ্টা করলে দায় এড়াতে পারবেন না।
ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, একটি দলের অন্তরকলহে ইতোমধ্যেই দুই শতাধিক নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। সুতরাং যে দল নিজের দলের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে পারেনা সেই দলের কাছে দেশ নিরাপদ নয়। আগামীর বিপ্লব হবে ইনসাফের বিপ্লব। এজন্য তিনি ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।