নির্বাচনী প্রচারণায় জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারের বিষয়ে প্রচারিত সংবাদ ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব এবং আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, নির্বাচন কমিশনে আমরা যা বলেছি, সেটা বিদ্যমান আইনের আলোকে। ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫’ এর বিধি ৭(চ)-তে বর্ণিত নিয়মগুলো যাতে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়, সে বিষয়ে আমরা গুরুত্বারোপ করেছি। এই নিয়ম সব দলের জন্যই প্রযোজ্য। বিএনপির বিষয়টা একটি উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ব্যক্তি আক্রমণের উদ্দেশ্যে নয়। কিন্তু গণমাধ্যমগুলোর শিরোনাম যেভাবে লেখা হয়েছে, তার ফলে ভুল বার্তা যেতে পারে।
জহিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার বিধি ৭(চ) বলছে, “দফা ঙ-তে যাহাই থাকুক না কেন, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত হইলে, সে ক্ষেত্রে তিনি কেবল তাহার বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি ব্যানার, লিফলেট বা হ্যান্ড বিল ও ফেস্টুনে ছাপাইতে পারিবেন এবং উল্লিখিত ছবি পোট্রেট আকারে হইতে হইবে এবং উহা কোনো অনুষ্ঠান ও জনসভায় নেতৃত্ব দান বা প্রার্থনারত অবস্থায় বা ভঙ্গিমায় ছাপানো যাইবে না।”
অ্যাডভোকেট মুসা আরও বলেন, আইনের এই ধারা অনুযায়ী দলীয় প্রধান হিসেবে কেবল খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এই নিয়মটা মানা হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত থাকলে বিধিমালা প্রয়োগের বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের নজরে নিয়ে আসি।
বুধবার নির্বাচন কমিশনে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ মোট সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার প্রসঙ্গে এনসিপির দেওয়া বক্তব্য ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রচার করেছে বলে দাবি করেছে দলটি।