ভরতনাট্যম, ওডিশি নাচে পারঙ্গম। অভিনয়টাও করেন ভালো। চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই আছে ‘লগান’, ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’-এর মতো সিনেমা। তারপরও গ্রেসি সিং এখন যেন হারিয়ে যাওয়া এক অভিনেত্রীর নাম। কিন্তু কেন অভিনয় থেকে সরে গেলেন অভিনেত্রী? আনন্দবাজার পত্রিকা, মিড ডে, নিউজ ১৮ অবলম্বনে সেটাই জানার চেষ্টা করা যাক।
১৯৯৭ সালে হিন্দি ধারাবাহিক ‘আমানত’ দিয়ে প্রথম নজরে আসেন গ্রেসি সিং। ২০০১ সালে অডিশন দেন ‘লগান’ ছবির। এর পরের গল্প সবারই জানা। প্রবল জনপ্রিয়, পুরস্কৃত সিনেমাটির কল্যাণে রাতারাতি পরিচিতি পান গ্রেসি সিং। এর পর সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে রাজকুমার হিরানির ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ সুপারহিট। ‘আরমান’, ‘গঙ্গাজল’ও মনে দাগ কেটেছিল দর্শকের। তারপরও ধীরে ধীরে অভিনয় থেকে দূরে সরে যান অভিনেত্রী।
বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে গ্রেসি সিংয়ের অভিনয় থেকে দূরে সরে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ পাওয়া গেছে।
যার মধ্যে একটি হলো হিন্দি সিনেমার পরিবেশের সঙ্গে গ্রেসির ‘মানিয়ে নিতে’ না পারা। যেমন ২০০৭-০৮ সালের দিকে নাকি এক প্রভাবশালী প্রযোজকের ছবিতে প্রস্তাব পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু ছোট পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য নন বলে সে প্রস্তাব এড়িয়ে যান।
বিতর্কও জড়িয়ে রয়েছেন তিনি। শোনা যায়, ২০০৮ সালে দেশদ্রোহী ছবির পরিচালককে তিনি নাকি চড় মেরেছিলেন। সব মিলিয়ে হিন্দি সিনেমা থেকে দূরে সরে যান গ্রেসি।
তবে দক্ষিণি ছবিতে অভিনয় করেছেন গ্রেসি সিং। তবে সেখানেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। এরপর মঞ্চনাটকেও পারফরম্যান্স করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
তবে চিত্রনাট্য বাছাইয়ের ব্যাপারে খুঁতখুঁতে ছিলেন গ্রেসি, একের পর এক ছবির প্রস্তাব ফেরান। এটিও তাঁকে ক্রমে অভিনয় দুনিয়ার বাইরে ঠেলে দেয়।
২০১৫ সালে ‘মা সন্তোষী’ সিরিয়াল দিয়ে টিভি পর্দায় ফেরেন গ্রেসি সিং। তখন অভিনয়ে অনিয়মিত হওয়া প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা সব সময়ই জানতে চান, কেন এত কম কাজ করি? কারণটা হলো, আমি প্রতিটি চরিত্রকে গভীরভাবে দেখার চেষ্টা করি, দেখি সেটার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যুক্ত হতে পারি না।’
এই ধারাবাহিক করার পর আবারও বিরতি, ফেরেন ২০২০ সালে। টিভির সিরিয়াল ‘সন্তোষী মা’র সিকুয়েলে দেখা যায় তাঁকে।
জানা গেছে, গ্রেসি সিংয়ের নিজের নাচের দল আছে। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন তিনি। নাচই নাকি এ মুহূর্তে তাঁর একমাত্র ধ্যানজ্ঞান।