গণসংহতি আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম এবং ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৌভিক করিম অর্জুনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে নিরাপদ সড়ক ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডে একটি ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা এই দুই সাবেক ছাত্রনেতার মৃত্যু হয়।
তাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে দুর্ঘটনাস্থলে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফের সভাপতিত্বে ও সহ-সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস জামানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য ও গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা তাসলিমা আখতার, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের (নিসআ) সভাপতি মেহেদী আব্দুল্লাহ দীপ্তসহ ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
জোনায়েদ সাকি তার বক্তব্যে বলেন, আরিফুল ইসলাম গণসংহতি আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক ছিলেন। ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের লক্ষ্যে আমরা যখন যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত হলাম তার কিছু পরেই ট্রাকচাপায় আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিম নিহত হলেন। তাই আমাদের আশংকা রয়েছে, এটা নিছক দুর্ঘটনা নাকি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। আমরা সরকারকে তা খতিয়ে দেখার দাবি জানাই।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় গত ১০ বছরে প্রায় ১ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেক মানুষ। এত বিপুল পরিমাণ মানুষের মৃত্যুর পরেও আমাদের সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ করতে কোনো সরকারই কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া আহ্বান জানান বক্তারা।
সভাপতির বক্তব্যে সৈকত আরিফ বলেন, সারা দেশে সড়কের এই কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকারকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা জনগণকে সচেতন করাসহ আরও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করব। আজকের মানববন্ধন থেকে ইস্কাটনে আরিফুল ইসলাম ও সৌভিক করিম স্মরণে দুর্ঘটনাস্থলে একটি স্থাপনা তৈরির জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাছে দাবি জানাই।
মানবন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য জুলহাসনাইন বাবু, ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফাসহ তার বন্ধু-স্বজন ও সহযোদ্ধারা।