সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
প্রেস সচিব জানান, আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়ন।
তিনি বলেন, লজিস্টিক নীতিমালা কোনো আইন নয়। কিন্তু একটি নীতিমালা থাকলে সরকার তার কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারে, একটি দিক-নির্দেশনা পায়। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি নীতিমালা। এর ফলে লজিস্টিক বিষয়গুলো খুব দ্রুত এড্রেস করা যাবে। এর ফলে দেশে সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়বে। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের রপ্তানি খাত আরও ভালো হবে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, বাংলাদেশে আমরা যদি একটি পণ্য রপ্তানি করতে যাই, সেটা চট্টগ্রাম পোর্টেই কোনো কোনো সময় ১১ দিন পড়ে থাকে। শিপমেন্টে দেরি হয়। লজিস্টিক নীতিমালা যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে পণ্য পরিবহন এবং পণ্যের সরবরাহ দ্রুত সবার কাছে পৌঁছাবে। আমরা পণ্য রপ্তানিও খুব দ্রুত করতে পারব। ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলো আরও বেশি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক হবে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালেও এমন একটি নীতিমালা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটিকে সচিব পর্যায়ের একটি কমিটি পুনর্মূল্যায়ন করে দেখেছে, এটা প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। এটার দুই তিন পৃষ্ঠা জুড়ে শেখ মুজিবের বন্ধনা ছিল।
প্রেস সচিব বলেন, এই নীতিমালার মূল ফোকাস থাকবে রেলওয়ে এবং নৌ-পরিবহনের ওপর। বাংলাদেশে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটারের মতো নৌ এবং রেলওয়ের রুট আছে। কিন্তু আমরা এটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারি না। এটার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এই নীতিমালায় জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই নীতিমালার মাধ্যমে আমাদের লজিস্টিক্যাল বিষয়গুলো একটি ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের মধ্যে এসে পড়বে। এতে কাস্টমসের ফি এবং ডকুমেন্টশন যাতে রিয়েল টাইমে ডিজিটালি করা যায়, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে রপ্তানি করা পণ্য কোথায় গেল, সেটি রিয়েল টাইমে বাংলাদেশে বসে ট্র্যাক করা যাবে।
এই নীতিমালায় ১১টি অধ্যায় আছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।