প্রতারণার অভিযোগে ‘ভুয়া জেনারেল’ গ্রেপ্তার

প্রতারণার অভিযোগে ‘ভুয়া জেনারেল’ গ্রেপ্তার

প্রতারণা ও তদবির বাণিজ্যের অভিযোগে ‘ভুয়া জেনারেল’ আকবরকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আকবরের আসল নাম মাফতুল হোসেন। তিনি বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে কর্মরত ছিলেন। নানা অনিয়মের কারণে সেখান থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

বুধবার (৫ নভেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, দুদক কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার অনৈতিক সহায়তার মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার জন্য দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মোবাইল নম্বরে ও হোয়াটসঅ্যাপে জেনারেল আকবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সামরিক উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে মোবাইল নম্বর- ০১৭১২৪৭০৯৮২, ০১৭১১২৪৮৬৩৬ থেকে যোগাযোগ করা হয়। দুটি প্রবেশপত্র পাঠিয়ে তাদেরকে নিয়োগ পরীক্ষায় সহায়তার মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার জন্য অনৈতিক তদবির করেন এবং বিভিন্ন সময় ফোন ও এসএমএসের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করেন।

অনুসন্ধানকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জানতে পারা যায় যে, গ্রেপ্তার আসামি মাফতুল হোসেন নিজেকে জেনারেল আকবরের মিথ্যা নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে চাকরি প্রদানের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভিন্ন অংকের অর্থ আদায় করছে। তাকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল বিকেলে পশ্চিম কাজীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ২টি সিম নম্বরসহ মোট ৪টি (চার) মোবাইল ফোন, ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসির শরীফুল ইসলাম নামীয় হিসাব নম্বর- ২১১১৫৭০১৬৮৪৫০ এর স্বাক্ষরকৃত ছয় লাখ টাকার তারিখ বিহীন একটি চেক, দুদক কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৫ এর শরিফুল ইসলাম এবং মো. জুয়েল হোসেন নামে দুটি প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়।

তিনি বিভিন্ন স্থানে জেনারেল আকবরের মিথ্যা নাম পরিচয় ব্যবহার করে ডিজি (এনআইডি), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন স্থানে অনৈতিক তদবিরের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। দুদক কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি দেওয়ার নামে শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকার স্বাক্ষরকৃত চেক ও মো. জুয়েল হোসেনের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকার স্বাক্ষরকৃত চেক গ্রহণ করেছে।

আসামি মাফতুল হোসেন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে কর্মরত ছিলেন এবং বিভিন্ন অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়। চাকরি থেকে বরখাস্তের পর তিনি বিভিন্ন প্রতারণার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাজিম উদ্দিন চৌধুরীকে দিয়ে চাকরি বরখাস্তের পর পুনর্বহালের জন্য ডিজি পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে তদবির ও বিভিন্ন উপায়ে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। এ চক্রে আরও সদস্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সব চাকরি প্রার্থীকে প্রতারকচক্র থেকে সতর্ক থাকতে এবং সব প্রকার তদবির ও আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS