ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপির অর্থদাতা হিসেবে চিহ্নিত করে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে দেশের বড় ব্যবসায়ী এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার প্রতিষ্ঠান দখল ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।
রবিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার ছেলে, নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমান ও রাজশাহীর সাবেক মেয়রসহ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ষড়যন্ত্র করে আমাকে ব্যবসা থেকে উৎখাত করেছে। ২০১০ সালের পর একের পর এক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি করা হয়েছে।
এরশাদ আলী আরও জানান, ৪২টি মামলার মধ্যে তার প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়, বাসা, ট্রাক, গুদাম ও কারখানার শত শত কোটি টাকার যন্ত্রপাতি লুট করা হয়েছে।
আমার ট্রান্সপোর্ট ব্যবসার ১৩৭টি ট্রাক এখনো তাদের দখলে রয়েছে। সোনারগাঁয়ের রি-রোলিং মিল ও ডেমরার স্টিল মিল দখল করে নেওয়া হয়েছে, তিনি বলেন।
এরশাদ আলী সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, যারা আমার প্রতিষ্ঠানের লুটপাট ও দখলের সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হোক। আমরা চাই ন্যায়বিচার হোক।
তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। দীর্ঘদিন কারাবন্দি থাকায় কিডনির ৮০ শতাংশ কাজ বন্ধ, ডায়াবেটিস ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়েছি। তবুও আল্লাহ যতদিন জীবন দিয়েছেন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাব।
এখন পর্যন্ত চার বছর কারাগারে কাটিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন এরশাদ আলী।
এরশাদ আলীর হয়ে মামলা পরিচালনা করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন। তিনি জানান, রাজনৈতিক হয়রানির কারণে এরশাদ আলী বহু বছর মুখ খুলতে পারেননি। এখন অন্তত আদালতে ন্যায়বিচারের আশা করছেন।