বিগত সরকার জিপিএ ফাইভের ‘প্রণোদনা’ দিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, সমাজের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভাজন টিকিয়ে রেখেছে। পাশাপাশি মাদ্রাসার শিক্ষকদের ‘লেস দেন বুদ্ধিজীবী’ হিসেবে রাখাসহ অপসংস্কৃতিকে দেশে প্রবেশ করানোর মতো কাজ করেছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ, ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থি সকল সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে জাতীয় সেমিনারে’ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ২০০৯ সাল পরবর্তী সময়ে প্রশ্ন ফাঁস ও পরীক্ষার হলে গার্ড সহজ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এক ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, যার বিনিময়ে জাতি ‘মূল্যবোধ’ হারিয়েছে। এটিকে এক প্রকার ‘ঘুষ’ হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করে মাদ্রাসা শিক্ষকদের এমন অবস্থায় রাখা হয়েছে যে, তারা মাহফিলে কথা বলবেন, কিন্তু টকশোতে তাদের জায়গা নেই।
শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, মক্তব কালচারকে পরিবর্তন করে কিন্ডারগার্ডেন দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। তবে কিন্ডারগার্ডেনের বিপক্ষে আমরা না। এবং বিভিন্ন সময়ে অপসংস্কৃতি স্যাটেলাইট টেলিভিশন ও ভারতীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশে ইনজেক্ট করা হয়েছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা যদি ক্ষমতায় আসি বা পরবর্তী যেকোনো সরকারের পলিসিতে অবশ্যই শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। যে শিক্ষা ব্যবস্থা হবে ‘কালচারালি অ্যাপ্রোপ্রিয়েট’, যা দেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে ধারণ করবে।
তিনি বলেন, এমন কোনো শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা যাবে না যা বাংলাদেশের বাস্তবতার সাথে, কৃষ্টি এবং কালচারের সাথে ইন-অ্যাপ্রোপ্রিয়েট।
সাম্প্রদায়িকতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ‘অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র’ না, বরং ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির’ ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। সংখ্যালঘুরা বাংলাদেশের অবিচ্ছিন্ন অংশ এবং তারা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ।
তিনি বলেন, কীভাবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয় তা বাংলাদেশ থেকে ভারত এসে শিখতে পারে।