ইরানে মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত তিন ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত ওই তিনজন হলেন- মজিদ কাজেমি, সালেহ মিরহাশেমি এবং সাঈদ ইয়াঘুবি। তাদের ‘আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ’র জন্য দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (২০ মে) ইরান এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের এই মৃত্যুদণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে।
গত বছর ১৬ নভেম্বর ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইস্পাহানে একটি বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে এই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
ইরানে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী আমিনি ইরানী নারীদের পোশাক সংস্কৃতির বাইরে পোশাক পড়ায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। গেপ্তার অবস্থায় তার মৃত্যুর পর দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠে। বিক্ষোভ চলাকালীন হাজার হাজার ইরানীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং কয়েক ডজন নিরাপত্তা কর্মীসহ কয়েকশ মানুষ নিহত হয়েছিল।
শুক্রবার বিক্ষোভের সাথে জড়িত আরও তিন জনের ফাঁসি কার্যকর করার পর ইরানিদের মৃত্যুদণ্ডের মোট সংখ্যা সাতজনে পৌঁছেছে। পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মৃত্যুদণ্ডের নিন্দা করেছে।
চলতি বছরের শুরু থেকেই ইরানে বিভিন্ন অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা বেড়েছে। আইএইচআর এবং প্যারিস-ভিত্তিক টুগেদার অ্যাগেইনস্ট দ্য ডেথ পেনাল্টি এপ্রিলে একটি যৌথ প্রতিবেদনে বলেছে, ইরান কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালে ৭৫ শতাংশ বেশি লোককে ফাঁসি দিয়েছে।
ইরানে গত বছর কমপক্ষে ৫৮২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল, যা ২০১৫ সাল থেকে দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড এবং ২০২১ সালে রেকর্ড করা ৩৩৩ জনের বেশি।