পরবর্তী পোপ হিসেবে আলোচনায় যাদের নাম

পরবর্তী পোপ হিসেবে আলোচনায় যাদের নাম

পোপ ফ্রান্সিস সোমবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন, ভ্যাটিকান এক ভিডিও বিবৃতিতে এই দুঃসংবাদ জানায়। কয়েকদিন আগেই তিনি একটি জটিল শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

১২ বছর আগে ক্যাথলিক চার্জের সর্বোচ্চ আসনে বসেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। তার মৃত্যু নতুন করে সামনে এনেছে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন— কে হবেন ক্যাথলিক ধর্মের প্রায় ১.৩৯ বিলিয়ন অনুসারীর আগামীর নেতা?

গির্জার জ্যেষ্ঠ পুরোহিতদের সমন্বয়ে গঠিত কার্ডিনাল পরিষদ পরবর্তী পোপ নির্বাচন করবেন। নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই একজন বাপ্তাইজড রোমান ক্যাথলিক পুরুষ হতে হবে। যদিও বিগত কয়েক শতক ধরে কেবল কার্ডিনালদের মধ্য থেকেই পোপ নির্বাচন করা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ২৪০ জনের বেশি কার্ডিনাল আছেন। এদের মধ্যে ১৩৮ জন ভোট দিতে পারবেন পরবর্তী পোপ নির্বাচনে। এর মধ্যে ১১০ জনকেই নিয়োগ দিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। ফলে, এবারের ভোটাররা আগের তুলনায় অনেক বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ— বিশেষ করে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার।

নতুন এই বৈচিত্র্যের কারণে ধারণা করা হচ্ছে, এই শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো কোনও আফ্রিকান বা এশিয়ান পোপ নির্বাচিত হতে পারেন।

ভবিষ্যৎ পোপ হিসেবে আলোচনায় থাকা নামগুলো:

পিটার টার্কসন (ঘানা): তিনি পন্টিফিক্যাল কাউন্সিল ফর জাজস্টিস এন্ড পিস এর প্রাক্তন প্রধান। একজন কঠোর রক্ষণশীল নেতা, যিনি নিজ দেশে শান্তির পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।

ফ্রিডোলিন অ্যামবঙ্গো (ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো): তিনি কিনশাসার আর্চবিশপ এবং সমাজ শান্তি ও মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার কণ্ঠ।

লুইস টাগলে (ফিলিপাইন): মানবিকতা ও দরিদ্রের পাশে দাঁড়ানোয় যিনি পোপ ফ্রান্সিসের আদর্শের খুব কাছাকাছি।

পিটার এরদো (হাঙ্গেরি): এসজ্টারগম-বুদাপেস্টের আর্চবিশপ, যিনি রক্ষণশীল মূল্যবোধের পক্ষে এবং ইস্টার্ন অর্থডক্স খ্রিষ্টানদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে কাজ করেছেন।

পিয়েত্রো পারোলিন (ইতালি): ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি অব স্টেট এবং দক্ষ কূটনীতিক, যিনি সমস্ত কার্ডিনালের কাছে পরিচিত মুখ।

মাত্তেও জুপ্পি (ইতালি): বলোনিয়ার আর্চবিশপ, যিনি সব সময় সংলাপ ও সহনশীলতার উপর জোর দেন।

মারিও গ্রেক (মাল্টা): সিনড অব বিশপসের সেক্রেটারি জেনারেল, যিনি পোপ ফ্রান্সিসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভবিষ্যতের পোপ সম্ভবত ইউরোপের বাইরের কোনও দেশ থেকে আসতে পারেন। যদি তাই হয়, তবে তা হবে ক্যাথলিক গির্জার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন।

সূত্র: আল জাজিরা

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS