পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমের ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়ে থাকতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা।
সোমবার (১০ মার্চ) বিএসইসির সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম তদন্তে এসে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন দুদকের ইনফোর্সমেন্ট টিম।
এদিন বিএসইসি কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে দুদক টিম। এতে দুদকের দুইজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিএসইসির সার্ভেল্যান্স সিস্টেমটি নির্ধারিত রুমের বাইরে আলাদা আরেক রুমে সংযোগ ছিল। অথচ সার্ভেল্যান্স শেয়ারবাজারের সংবেদনশীল অংশ। এখান থেকে তথ্য পাচারের মাধ্যমে বাজারে ম্যানুপুলেশন হতে পারে।
তিনি বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় রেগুলেটরি ইনফরমেশন সিস্টেম সফটওয়্যার, যেটা ইনস্টল করার কথা ছিল, কিন্তু করা হয়নি। যে প্রকল্পটি ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ২০২২ সালে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু ইনস্টল হয়নি, ব্যবহার হয়নি, পিসিআর হয়নি এবং হস্তান্তর হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পটির বাজেট ছিল ২৮ কোটা টাকা। প্রাথমিকভাবে এখানে অনিয়ম হতে পারে বলে মনে হয়েছে। এ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র আরও যাচাই করতে হবে। এ নিয়ে প্রকল্প পরিচালকের সাইফুর রহমানের সঙ্গে কথা বলব।
সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে। দুইজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করছেন।
জানা গেছে, এই টিম প্রথমে বিএসইসির চেয়ারম্যানে সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর সার্ভিলেন্স ও মনিটরিং বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে অভিযান পরিচালনা করছেন।
এর আগে ২ মার্চ দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে একটি অভিযান পরিচালনা হয়।