নির্বাচন নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল বিতর্ক করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক করছে।স্থানীয় নির্বাচন আগে হতে হবে, তারপরে সংসদ নির্বাচন হবে— কেন? রাজনীতি কে করবে? কে ক্ষমতায় আসবে এটা নির্ধারণ করবে জনগণ। জনগণের সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই তো গত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উদ্যোগে শবে বরাত উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি। তিনিও শেখ হাসিনার হাতে নির্যাতিত। তিনি ন্যায়সঙ্গত কাজ করবেন, এবং তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি বিকাশিত হবে। নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক, তাদের মাধ্যমেই দেশ চলবে, স্থানীয় নির্বাচন হবে এবং আরও অন্যান্য সংস্কার হবে।
তিনি বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে এই জাতি স্বাধীনতা পেয়েছে। ক্ষুদ্র স্বার্থের কারণে সেই স্বাধীনতা যেন ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। যা দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর, আমাদেরকে সেটা—ই করতে হবে। এ কারণে একাত্তরের যুদ্ধ হয়েছিল, মানুষ কিন্তু তা পায়নি। বারবার দেশের জনগণ অধিকার হারা হয়েছে। দেশ কে চালাবে, কোন রাজনীতিবিদ ক্ষমতায় আসবে, সেটা তো নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। সেই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই তো এত লড়াই।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সত্যিকার অর্থে যে গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্রের জন্য কাজ করতে হবে। একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, যে নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করবে এবং ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবে, তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে— এটাই অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বড় কাজ। এই কাজ তো তাদের দেখাতে হবে।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামালসহ আরও অনেকে।