রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করে ভেরিফিকেশনে বাদ পড়া প্রার্থীরা চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
ল্যাব টেকনিশিয়ান পদে সুপারিশ পাওয়া জাফর সাদেক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ৪৪ জন চাকরিপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার, টেকনিশিয়ান, কেমিস্ট ও ল্যাব টেকনিশিয়ান পদে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলাম। কিন্তু চাকরির সব শর্ত পূরণের পর এনএসআইয়ের মাধ্যমে সেই সময় আমাদের বিষয়ে তদন্ত করানো হয়। সেই তদন্ত কর্মকর্তারা আমাদের নিজ নিজ এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে আমাদের বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে। এতে কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী বা অসামাজিক কার্যকলাপের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা না পেলেও শুধু বিএনপি-জামায়াতপন্থী পরিবারে জন্ম নেওয়ার অপরাধে সম্পূর্ণ নিয়ম অমান্য করে আমাদের নিয়োগ আটকে দেওয়া হয়।’
টেকনিশিয়ান ইলেকট্রনিকস পদে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া এস এম বোরহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের অন্যায়ভাবে বাদ দিয়ে আমাদের পদগুলোতে বেছে বেছে আওয়ামীপন্থী পরিবারের সন্তান এবং ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ে আসা আমরা ৪৪ জন ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ান চরমভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছি। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আমরা প্রত্যেকে বিষয়টি অবগত করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে আবেদন দিয়েছি। কিন্তু বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হলেও গত পাঁচ মাসে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক; রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মরকলিপি দিয়েছি। শিগগিরই আমাদের নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না এলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’