News Headline :
সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা ন্যায়বিচারটা দেখতে চাই, ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বই ছাপাতে অসহযোগিতা করেছে বিগত সরকারের অসাধু চক্র: প্রেস উইং মোদীর সফর ঘিরে হত্যার ঘটনায় হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গণহত্যা-গুমের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল মা-ছেলে একসঙ্গে দেশে ফিরবেন, প্রত্যাশা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিয়ে নিয়ে সমালোচনা ও নতুন স্ত্রীকে নিয়ে যা বললেন তাহসান বিয়ের ৩৩ বছর পর ধর্ম বদলালেন শাহরুখের স্ত্রী গৌরী! বেঙ্গালুরুতে সন্তানদের বিষ খাইয়ে ফাঁস নিলেন দম্পতি ফ্ল্যাট বিতর্কে পদত্যাগের চাপে টিউলিপ সিদ্দিক
গাইবান্ধায় সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ

গাইবান্ধায় সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ

শরীরে প্রচণ্ড জ্বর। রাস্তার ধারে পড়ে শীতে কাঁপছিলেন তিনি।শরীরের এক সাইডে প্যারালাইসড তাই চলাচলও করতে পারেন না। সকাল থেকে রাস্তার ধারে পড়েছিলেন। দুপুরেও একই অবস্থা দেখে এলাকাবাসী বুঝতে পারেন-হয়তো কেউ ফেলে দিয়ে গেছে এই অসহায় মাকে।  

কনকনে শীতের মধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ওই অসহায় মাকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেছেন তারই আপনজনরা। পরে সমাজসেবক ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অসহায় ওই মায়ের জায়গা হয়েছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে। বৃদ্ধাশ্রমের কর্ণধার সাজেদুর রহমান সাজু নিজেই উপস্থিত হয়ে ওই মাকে নিয়ে যান।  

রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতেই তাকে বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে যাওয়া হয়। ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধা মায়ের নাম রেহানা খাতুন (৫৯)। তার বাসা সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়ী এলাকায়।

রোববার সকালে সবার অজান্তে সেই বৃদ্ধা মাকে শহরের উপকণ্ঠে কামারপুকুরের নতুন ডাঙ্গা পাড়ায় রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে যায় তার আপনজনরা। ওই এলাকার রাসেল, খোরশেদ সকাল থেকে ওই মায়ের দেখাশুনা করছিলেন। পরে স্বেচ্ছাসেবক সাংবাদিক নওশাদ আনসারী ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কিশোরগঞ্জের নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই হয় ওই মায়ের। রাতেই বৃদ্ধাশ্রমের কর্ণধার সাজেদুর রহমান সাজু মাইক্রোবাস নিয়ে এসে ওই মাকে বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে যান।

ওই এলাকার খোরশেদ আলম জানান, সকাল থেকে রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই মাকে। রোগাক্রান্ত হওয়ায় তিনি হাঁটাচলাও করতে পারছিলেন না। চা পানি নাস্তা দিলেও খেতে চাচ্ছিলেন না। তাকে কে বা কারা ফেলে দিয়ে গেছে। পরে এলাকাবাসী ও স্বেচ্ছাসেবক সাংবাদিক নওশাদ আনসারীর মাধ্যমে উনাকে নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবক নওশাদ আনসারী ও রাসেল আহমেদ জানান, ওই বৃদ্ধা মায়ের ব্যাপারে খোঁজ নিলে জানা যায়, তার এক ছেলে ছিল সে মারা গেছে। পরে ছেলের বউয়ের অন্যত্র বিয়ে হলে অসহায় হয়ে পড়েন এই মা। তাছাড়া তিনি রোগাক্রান্ত হওয়ায় হয়তো তার কোনো আপনজনই রাস্তার ধারে ফেলে দিয়ে যায়। পরে মানবসেবক নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের সাজু ভাইকে অবগত করলে তিনি সাদরে ওই মাকে গ্রহন করেন এবং নিজেই মাইক্রোবাস নিয়ে এসে ওই মাকে বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে যান।

নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের কর্ণধার সাজেদুর রহমান সাজু বলেন, ওই এলাকা থেকে খবর পাই যে কোনো এক বৃদ্ধা মাকে কেউ রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেছে। পরে সৈয়দপুরে স্বেচ্ছাসেবক সাংবাদিক নওশাদ আনসারী এবং ওই এলাকার খোরশেদ আলম, রাসেল ভাইয়ের সহযোগিতায় আমার বৃদ্ধাশ্রমের দুই সহকর্মী রাফিয়া আক্তার, রতন রায়কে সঙ্গে নিয়ে রাতেই তাকে আমাদের নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে নিয়ে আসি।

আমাদের নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রম যতদিন থাকবে, আমি যতদিন থাকবো ততদিন কোনো অসহায় বৃদ্ধা মা-বাবা রাস্তায় পড়ে থাকবে না। আমার নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে অসহায় মা-বাবাদের জন্য সব সময় খোলা বলে জানান মানবিক সাজেদুর রহমান সাজু।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS