ঢাকাই চলচ্চিত্রের দাপুটে অভিনেতা ছিলেন ফারুক। খুব অল্প সময়েই গ্রামীণ, সামাজিক ও রোমান্টিক সিনেমায় অভিনয় করে জায়গা করে নিয়েছিলেন দর্শকহৃদয়ে। তার এভাবে চলে যাওয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা চলচ্চিত্রাঙ্গনে।
‘নয়নমণি’, ‘লাঠিয়াল’ ও ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন ফারুক-ববিতা। যুগের পর যুগ বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস হয়ে থাকবে সিনেমাগুলো।
সোমবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে নায়ক ফারুককে স্মরণ করে ববিতা বলেন, পর্দার মতো বাস্তবেও ভীষণ প্রতিবাদী ছিলেন ফারুক ভাই।
তিনি বলেন, ফারুক ভাই নেই, খবরটি শোনার পর সকালটা বিষণ্ন হয়ে গেল। যা ভাবিনি সেটাই হলো। সবকিছু ছাড়িয়ে তিনি ছিলেন অনেক আপন মানুষ, ভীষণ প্রতিবাদী মানুষ। সিনেমার পর্দায় যেমন প্রতিবাদ করতে পারতেন, বাস্তবেও ঠিক তাই করতেন। পর্দার মতো বাস্তবেও প্রতিবাদী ছিলেন ফারুক ভাই।
বরেণ্য এই অভিনেত্রী আরও বলেন, নায়ক ফারুকের সঙ্গে অনেক বছর আগে আমার পরিচয় হয়। শুনেছি ব্যক্তিজীবনে তিনি অনেক সাহসী এবং রাগী ছিলেন। তবে, অভিনয়জীবনে তিনি ছিলেন একদমই মাটির মানুষ। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে সত্যিই মাটির মানুষ হয়ে যেতেন। কীভাবে সংলাপ দিতে হবে, কীভাবে দৃশ্যটি আরও সুন্দর করা যায়, কীভাবে চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা যায়, বিষয়গুলো নিয়ে ভীষণ ভাবতেন তিনি।
স্মৃতিচারণ করে ববিতা বলেন, একসঙ্গে সিনেমা করতে গিয়ে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। আমাদের ২ জনের সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রগুলো এখনও দেখেন দর্শকরা। দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ফারুক ভাই। শুনেছিলাম আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কয়েক মাস আগে তার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কী থেকে কী যে হয়ে গেল! প্রিয় মানুষটি আর নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘নয়নমণি’ সিনেমা ২টি সুপারহিট ছিল। দুজনের কত স্মৃতি রয়েছে! তার ভরাট কণ্ঠ আর শুনতে পাব না। আর কখনও দেখতে পাব না সাহসী মানুষটিকে। রূপালি পর্দার এই মানুষটি ওপারে ভালো থাকুক, এখন এটাই শুধু চাওয়া আমার।