পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আমাদের যে ভূমিকা নেওয়ার কথা, তা প্রয়োগ করার সময় এখনও আসেনি।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কৌশলী জবাব দেন।
আগামী ৯ ডিসেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক বসছে। সেই বৈঠকে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার পূর্বসূরি (সাবেক মুখপাত্র তৌফিক হাসান) নিশ্চয়ই একটা বক্তব্য আপনাদের দিয়েছেন। এটার একমাত্র অভিনেতা শুধু আমরা না। এখানে আমরা একটা অংশ। আমাদের যে অংশে ভূমিকা পালন করার কথা, তা প্রয়োগ করার সময় এখনও আসেনি। ওইটা যখন আসবে তখন আমরা করব।
পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে রফিকুল আলম বলেন, এফওসিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে যত উপাদান আছে, সবগুলোই রাখার চেষ্টা করা হয়। কখনও আলোচ্যসূচি ঠিক করার ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সম্মতি লাগে। এটা এখন পর্যন্ত চলমান। তবে সাধারণভাবে যেটা বলা যায়, বাণিজ্য আছে, কানেক্টিভিটি আছে, সীমান্ত আছে, পানি আছে। এ বিষয়গুলো আলোচনাতে থাকবে। আরও অনেক উপাদান নিশ্চয়ই আছে, এই মুহূর্তে আমার কাছে সেটা নেই।
শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আদালত বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো আবেদন এসেছে কি না জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, আমার জানা মতে এখনো পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে চুক্তির বিষয়ে জানানো নিয়ে রফিকুল আলম বলেন, যেহেতু একটা প্রসঙ্গ উঠে এসেছে, এটা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। তবে এই মুহূর্তে আমার পুর্বসূরি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে নতুন বক্তব্য যুক্ত করার সুযোগ নেই।