প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে গ্লোবাল সুপার লিগ টি-টোয়েন্টি। এতে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে রংপুর রাইডার্সও।প্রথমবার বাংলাদেশের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছে বাইরে। গায়ানায় পাঁচ দলের টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কথা পাঁচটি ভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজির।
এই টুর্নামেন্ট ঘিরে নিজেদের অনুশীলন জার্সিতেও লাল-সবুজের ছোঁয়া নিয়ে এসেছে রংপুর। শনিবার মিরপুরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তারা। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান জানিয়েছেন, তাদের জন্যও এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারা বড় সুযোগ।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় যে এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য বড় সুযোগ এমন একটা গ্লোবাল টুর্নামেন্ট হচ্ছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট হবে, এখানে অংশ নেওয়া। বাংলাদেশের হয়ে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি দল দেশের বাইরে যাচ্ছে, এটা অনেক বড় পাওয়া আমাদের জন্য। ’
‘একইসঙ্গে আমাদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের জায়গা থেকে শতভাগ ভালো কিছু করার করার। যেন ভবিষ্যতে আমাদের ক্রিকেটে ভালোর জন্য এরকম সুযোগ আসে। ’
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এমনিতে খুব বেশি টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পান না। এবার জাতীয় দলের আশেপাশে আছেন এমন ৯ ক্রিকেটার নিয়ে গ্লোবাল সুপার লিগের জন্য দল গড়েছে রংপুর। অধিনায়ক সোহানের আশা, এখান থেকে নিজেদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে পারবেন আরও।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হবে। স্যার (নাজমুল আবেদীন) যেটা ম্যানশন করলো, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় শেখার প্রক্রিয়া। আমরা হয়তো খুব বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই না। যেহেতু এই টুর্নামেন্ট খেলছি, এরপর জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি আছে, বিপিএল আছে। ’
‘সবমিলিয়ে এ বছর অনেক বেশি টি-টোয়েন্টি খেলতে পারবো। আর টি-টোয়েন্টি জিনিসটা এমন, আমরা যত খেলবো, অভিজ্ঞতা বলেন বা সবকিছু বলেন বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু ওখানে পাঁচটা ভালো মানের দল আছে, আমার কাছে মনে হয় অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলতে পারবো। যেটা আমাদের ভবিষ্যতে কাজে দেবে। ’
আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে গায়ানায় শুরু হচ্ছে গ্লোবাল সুপার লিগ। এখানকার উইকেটে আগেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে সোহানের। তিনি বলছেন, গায়ানার উইকেট হবে অনেকটা বাংলাদেশের মতোই। হেড কোচ মিকি আর্থারের সঙ্গে মিলে পরিকল্পনাও সাজিয়েছেন বলে জানান সোহান।
তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমরা জাতীয় লিগের ম্যাচ খেলছিলাম। শেষ চারদিন আমরা একসঙ্গে অনুশীলন করেছি। আমার কাছে মনে হয় ওখানে গিয়ে তিন-চারদিন অনুশীলনের একটা সুযোগ পাবো। আমি শেষ ওয়ানডে সিরিজ ওখানে খেলেছিলাম, গায়ানা ও বাংলাদেশের উইকেট কিছুটা একই। ’
‘কোচ মিকি আর্থারের সঙ্গে কথা হয়েছে পুরো দলের, কী পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যেতে পারি এবং কেমন পরিস্থিতি হতে পারে সেটার একটা ধারণা সবাই পেয়েছে। ওখানে যাওয়ার পর তিন চারদিন অনুশীলনের সুযোগ পাবো, সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। ’