শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, দেশের সব বন্ধ চিনিকল আবারও সচল করা হবে। চিনির উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।এই কার্যক্রম সফল করতে সরকারের পক্ষ থেকে টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি চিনিকলগুলো চালু করার প্রতিবন্ধকতাসমূহ পর্যবেক্ষণ করছেন। জনগণ পাশে থাকলে সমন্বিত শক্তি, উদ্যোগ গ্রহণ এবং সাহসের মাধ্যমে সফল হতে চাই। সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কাজ করছি। আমরা সবাই মিলে পরিবর্তনের ধারা চালু করতে চাই। পরবর্তীতে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন তারা তা অব্যাহত রাখবেন।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে চলতি মৌসুমের আখ মাড়াই কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. লিপিকা ভদ্র। উদ্বোধন শেষে মিলের কেইন ক্যারিয়ার প্রাঙ্গণে এক মিলাদ-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, দেশের পিছিয়ে পড়া এলাকায় কলকারখানা কম থাকায় জীবন-জীবিকার পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেখানে সামগ্রিকভাবে আমরা উদ্যোগ নিতে চাই। আমরা যদি সামগ্রিকভাবে চেষ্টা করি, নিশ্চয়ই আমরা পরিবর্তনের ধারা শুরু করে যেতে পারব। রাষ্ট্র পরিচালনায় এরপরে যারা আসবেন, তারা এই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন – বিশেষ অতিথি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের পরিচালক এটিএম কামরুল ইসলাম, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হোসাইন, আখচাষী হাসান রাজা প্রমুখ।
নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ খবির উদ্দিন মোল্ল্যা বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে দুই লাখ টন আখ মাড়াই করে ১৫ হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট ১১৭ আখ মাড়াই দিবসে চিনি আহরণের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন মাড়াই কর্মক্ষমতা নিয়ে ১১৭ কর্ম দিবসে ১৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ভাগ। চলতি মৌসুমে এই মিলে ১৭ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ রোপণের নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মিলের নিজস্ব জমি রয়েছে ২ হাজার ৫০০ একর। গত বৃহস্পতিবার হতে ৩১ টি ক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে আখ কেনা শুরু হয়েছে। এ বছর প্রতি মন আখের দাম ধরা হয়েছে মিল গেটে ২৪০ এবং ক্রয় কেন্দ্রে ২৩৭ টাকা।