দরিদ্র মানুষের খাদ্য ব্যয়ের একটি বড় অংশ যায় চালের পেছনে। এক মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম ৪ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।নতুন করে চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সংসার সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এমন পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে চালের মজুত বাড়ানোর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এনবিআর এ প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
এতে বলা হয়, কাস্টমস আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৭ নং আইন) এর ধারা ২৫ এর উপধারা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জনস্বার্থে ওই আইনের প্রথম তফসিলভুক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে সিদ্ধ চাল ও সিদ্ধ ছাড়া আতপ চাল আমদানির ক্ষেত্রে আরোপণীয় সমুদয় কাস্টমস শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তবে এই প্রজ্ঞাপনের আওতায় রেয়াতি হারে চাল আমদানির আগে প্রত্যেক চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা থেকে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে।
এনবিআর বলছে, চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ এবং বিদ্যমান রেগুলেটরি শুল্ক ৫ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে অর্থাৎ চাল আমদানিতে বিদ্যমান মোট করভার ২৫ শতাংশ হতে কমিয়ে ২ শতাংশে (অগ্রিম আয়কর) নেমে আসবে। এতে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ৯ দশমিক ৬০ টাকা কমবে। সমুদয় আমদানি শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, ভোক্তা পর্যায়ে চালের সহনীয় পর্যায়ে থাকবে এবং সাধারণ ক্রেতার জন্য তা সহজলভ্য হবে।