দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি ১১ মে পর্যন্ত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
বুধবার (১০ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, এদিন দুপুরেই আগেই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ হিসেবে রূপ নিতে পারে। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে বৃষ্টির কারণে দেশের তাপমাত্রা কমে আসবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি কোন পথে এগোচ্ছে সেদিকে নজর রাখছে আবহাওয়াবিদরা।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিক বরাবর পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। এরপরই পথ পরিবর্বতন হতে পারে। বাঁক নিয়ে তা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক বরাবর বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে এগোতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও জানা যায়নি। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
এদিক বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ জন্য পাকা ধান (৮০ শতাংশ), পরিপক্ব আম ও অন্যান্য সংগ্রহ উপযোগী ফসল দ্রুত সংগ্রহ করার নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।