ইরানের রাজধানী তেহরানসহ খুজেস্তান ও ইল্লাম প্রদেশে ইসরায়েলের হামলার পর জাতিসংঘের সদর দফতর নিউইয়র্কে স্থায়ী কমিটির বৈঠক বসছে সোমবার।
শুক্রবার রাতভর ও শনিবার সকালে (২৫ ও ২৬ অক্টোবর) ইরানের সেনাঘাঁটি, এয়ারফোর্স বেস এবং সাবেক পারমাণবিক পরীক্ষাগারে হামলা চালায় ইসরায়েল।
এরপর শনিবারই আলজেরিয়া, চীন ও রাশিয়ার সমর্থনে স্থায়ী পরিষদের বৈঠকের আহ্বান করে জাতিসংঘের ইরান মিশন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়। স্থায়ী পরিষদের প্রেসিডেন্ট সুইজারল্যান্ড রোববার এ বৈঠকের আহ্বান জানায়।
জাতিসংঘে ইরানের মিশন স্থায়ী পরিষদের বৈঠকের আহ্বান করে জানায়, ইরানে ইসরায়েলের হামলা বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর হামলা এবং সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি শনিবার জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের স্থায়ী পরিষদের কাছে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠান। সে চিঠির প্রেক্ষিতে সোমবার স্থায়ী পরিষদের এ বৈঠক বসছে।
১ অক্টোবর ইরান দেশটির সিনিয়র কমান্ডার ও তেহরানে অবস্থানকালে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলের সেনাঘাঁটি, এয়ারফোর্স ঘাঁটি এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর ভবন লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে।
এরই পাল্টা জবাব দিতে ২৫ ও ২৬ অক্টোবর ইরানে হামলা করে ইসরায়েল।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ডেনন ইরানের আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, ইরান খুব সূক্ষ্মভাবে কৌশলে আমাদের বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ এনেছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেনি। আমরা আমাদের আত্মরক্ষার অধিকার রাখি। আমরা আমাদের নাগরিকদের রক্ষায় সব কিছুই করবো।