ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর কোতোয়ালি থানাধীন এলাকায় মনিরুল ইসলাম অপু হত্যার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক প্রক্টর মোস্তফা কামাল ও সাবেক সহকারী প্রক্টর নিউটন হালদারসহ জবি ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মীর নামে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কোতোয়ালি থানা সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মামলায় ৩৯ জনের নামোল্লেখ করে ১৬ সেপ্টেম্বর রবিউল ইসলাম শাওম নামে একজন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এছাড়াও এ মামলায় জবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রীতিষ দত্ত রাজ, শামীম ফেরদৌস অপি, ইব্রাহিম হোসাইন সানিম, কামরুল হোসাইন, রিফাত সাইদ, সিএসই বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল জুনাইদ, সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন, ১০ম ব্যাচের সজল, মিরাজ হোসাইন, জবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী ইকবাল কবির সম্রাট, সাজবুল ইসলাম, তাওফিক মাহমুদ, মুনিয়া আক্তার যুথি, মীর মুকিত, জবির অজ্ঞাতপরিচয় ২০ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদীর বাবা মনিরুল ইসলাম অপু (৫৫) ৫ আগস্ট সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। জবির ছাত্রলীগসহ উল্লেখিত বিবাদীরা অন্যান্য সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা বংশাল থানার ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করেন। একপর্যায়ে মনিরুল ইসলাম অপু পেটের বাম পাশে গুলি লাগে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।