জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় থেকে প্রশাসন ব্যবহার করে এবং দলীয়করণের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করে ভোটে পাশ করলে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন হয় না। এমন নির্বাচনে যারা বিজয়ী হন, জনগণ তাদের সম্মান করে না। কারণ, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে বিরাজনীতিকরণের দিকে দেশকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। তিনি গতকাল সোমবার তার বনানী কার্যালয়ে জাপায় যোগদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। গণতন্ত্র হচ্ছে জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় সরকার গঠন করা। দেশে এখন এটি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। তাই, কেউ আর জনগণের কথা চিন্তা করে কাজ করে না। বরং জনগণের কথা কীভাবে বন্ধ করা যায়, কীভাবে গণমাধ্যমে গণমানুষের দাবি প্রকাশ না হয়— সেজন্য বিভিন্ন আইন করা হচ্ছে। যারা সংবিধানের দোহাই দেন, তারা কেউই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না।
তিনি বলেন, ’৯১ সালের পর থেকে টেন্ডারবাজি করে এক শ্রেণির লোক আঙুল ফুলে বটগাছ হয়ে গেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে। আওয়ামী লীগ এক বার, বিএনপি চার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এরশাদের সময় দেশ কখনোই দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়নি। বিএনপি দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আরো বেড়েছে। এখন সারা পৃথিবীতে আমাদের দুর্নাম ছড়িয়ে পড়েছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে লুটপাটের উদ্দেশ্যে। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি, এটা এখন ওপেন সিক্রেট। যারা লুটপাট করেছে তারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে, বাড়ি-ঘর বানিয়েছে।
জি এম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ধর্মনিরপেক্ষতা ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করে তাদের বাড়ি-ঘর দখল করছে। তদন্ত করলে দেখা যায় ক্ষমতাসীন দলের লোকেরাই এতে জড়িত। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। দুটি দল দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।