খালেদা জিয়ার সঙ্গে মান্নার সাক্ষাৎ, আন্দোলন জোরদারের আহ্বান

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মান্নার সাক্ষাৎ, আন্দোলন জোরদারের আহ্বান

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না দেখা করেছেন। সোমবার (৮ মে)  রাত সোয়া ৮টার দিকে গুলশানে খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসা ফিরোজায় প্রবেশ করে রাত ১০টার দিকে তিনি বের হন।

এ সময় তিনি বিএনপি প্রধানের শারীরিক খোঁজ নেন এবং কুশলাদি বিনিময় করেন বলে জানান মান্না।

সাক্ষাৎ শেষে ফিরোজা থেকে বের হয়ে মান্না বলেন, খালেদা জিয়াকে দেখে সুস্থ মনে হয়নি।

চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন তাকে বলেছেন, তার চিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়া জরুরি। কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছে না। যার কারণে পুরোপুরিভাবে তিনি সুস্থও হতে পারছেন না।

বিএনপি চেয়ারপারেসনের সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে মান্না বলেন, বেগম জিয়া কেয়ার টেকার সরকার না হলে এই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশবাসীকে নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন।

মান্না বলেন, আন্দোলন নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। সবাইকে নিয়ে আন্দোলন জোরদার করার কথা বলেছেন। ষড়যন্ত্র করে নেতাদের বিপথগামী করার চেষ্টা করবে সরকার; এক্ষেত্রে সজাগ থাকতে হবে; সতর্ক থাকতে হবে; সরকারের কোনও ফাঁদে পা না দিয়ে আন্দোলন জোরদার করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আন্দোলনের বিকল্প নেই। বিএনপি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না মর্মে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

বেগম জিয়া রাজনীতি নিয়ে চিন্তিত উল্লেখ করেন মান্না বলেন,ম্যাডাম তো সক্রিয় রাজনীতিতে নেই, কিন্তু তিনি দেশের রাজনীতি নিয়ে চিন্তিত। দেশ অন্ধকারের দিকে চলে গেছে। নৈতিক অবস্থা ধ্বংসের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে সবাই মিলে চেষ্টা করতে বলেছেন।

মান্না বলেন,দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া কষ্টে আছেন। তিনি নিজে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে কিছু করতে পারছেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আমাকে বলেছেন, দেখুন আমি কতদিন ধরে বাড়িতে জেলখানার মত বন্দি, হাসপাতালে থাকতে হয়েছে আমাকে।

এর আগে ২০২০ সালে মে মাসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশানের বাসায় সাক্ষাৎ করেছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’দেয় সরকার। এরপর থেকে তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে। গুলশানের ভাড়াবাসা ফিরোজায় থাকছেন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে সাধারণ কোনো নেতা দেখা করতে পারেন না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেশ কয়েকবার দলীয় প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS