দীর্ঘ চার মাস সাত দিন পর আজ মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে।
শনিবার (৩১আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি জেলার বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া।
প্রাকৃতিক প্রজনন ও কার্প জাতীয় মাছের বংশবিস্তারের লক্ষ্যে প্রতি বছর তিন মাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। এ বছর ২৪ এপ্রিল থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস বন্ধ থাকার পর হ্রদে পর্যাপ্ত পানির অভাবে মাছের বংশবিস্তার সুষ্ঠুভাবে না হওয়ায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ দুই দফা বাড়ানো হয়। অবশেষে মোট ১২৭ দিন পর আজ থেকে হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হচ্ছে।
আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। জেলে ও ব্যবসায়ীরা হ্রদে জাল ফেলার জন্য প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় আশা করছি এবার বছরজুড়ে প্রত্যাশিত পরিমাণে মাছ আহরণ সম্ভব হবে।
রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া বলেন, চার মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আজ মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হচ্ছে। এ নিয়ে জেলে এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আগামীকাল সকাল থেকে আবারও ব্যস্ত হয়ে উঠবে বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ ঘাট। যেহেতু হ্রদে প্রচুর পানি আছে, তাই এ বছর ভালো ব্যবসা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম হ্রদ কাপ্তাইয়ে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়।