খুলনার ফুলতলা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম সরদারকে (৫৫) গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে মিস ফায়ারের কারণে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ফুলতলার নতুনহাটস্থ জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাবু স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দামোদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভুঁইয়া শিবলুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জুমার নামাজ আদায় শেষে বিএনপি নেতা সেলিম সরদার ও তার ভাইপো আবু ওবায়দা অনিক (২৬) কথা বলতে বলতে বাড়ি ফিরছিলেন। নতুনহাটের বাবু স্টেশনে পৌঁছালে সেলিমকে লক্ষ্য করে ২ যুবক কাছ থেকে পিস্তল দিয়ে ২ রাউন্ড গুলি করে। তবে মিস ফায়ার হলে উপস্থিত অন্যান্য মুসল্লিরা তাদের ধাওয়া করলে তারা আরও কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে সেলিমকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা-যশোর মহাসড়কের নতুনহাট হাসপাতালের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিএনপি নেতা সেলিম সরদার বলেন, বাবা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, বড় ভাই ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আবু সাঈদ বাদল, ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠুকে যে চরমপন্থি নেতার নেতৃত্বে খুন করা হয়েছে তারাই আমাকে হত্যার উদ্দেশে গুলি করে।
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভুইয়া শিপলুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. আসিফ ইকবাল, ডিবির ওসি মো. নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে থানায় এসে চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভুঁইয়া শিবলুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।