বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর নিরাপত্তায় সীমান্তবর্তী এলাকার ২১টি থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রংপুর ও যশোর রিজিয়নের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রংপুর রেঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকার ১১টি থানা এবং খুলনা রেঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকার ১০টি থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সম্প্রতি চলমান পরিস্থিতির আলোকে সীমান্তবর্তী জনপদে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে জনমনে আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিজিবি সীমান্ত ও সীমান্তের আশেপশের জনপদসহ সীমান্তবর্তী থানাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। থানাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারে মোবাইল ও স্ট্যাটিক টহল পরিচালনাসহ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সীমান্তে ও সীমান্তবর্তী এলাকায় জননিরাপত্তা হানিকর কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বিজিবির সহায়তার জন্য নিকটস্থ বিওপি ও ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে জরুরি মোবাইল সেবা চালু করেছে। বিজিবির এমন কার্যক্রমের ফলে এরই মধ্যে সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী জনপদে শৃঙ্খলা এবং জনমনে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে। সীমান্তবর্তী থানাগুলো বিজিবির নিরাপত্তায় জোরদারের ফলে এরই মধ্যে থানার স্বাভাবিক কার্যক্রমেও গতি ফিরতে শুরু করেছে। জনগণ বিভিন্ন সেবার জন্য থানায় যাওয়া-আসা শুরু করেছে।
তিনি জানান, বিজিবির নিরাপত্তায় এরই মধ্যে রংপুর রেঞ্জের সীমান্তবর্তী দিনাজপুরের হাকিমপুর থানা, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম থানা, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানা, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী ও তেঁতুলিয়া থানা, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি, রৌমারী, চর-রাজিবপুর, কচাকাটা ও ঢুষমারা থানাসহ ১১টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
অপরদিকে, খুলনা রেঞ্জের সীমান্তবর্তী যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ, দেবহাটা ও কলারোয়া থানা, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও জীবননগর থানা, মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী থানা এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানাসহ মোট ১০টি থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।