চলমান কারফিউ পরিস্থিতিতে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও ভোলায় সব ধরনের সবজির দাম আকাশচুম্বী। মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে ফের দাম বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, গাজর ও কাচা মরিচের।
তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম স্বাভাবিক থাকলেও নাগাল ছাড়ছে সব ধরনের মাছের দাম।
দাম বৃদ্ধির কারণে বাজার করতে এসে ক্ষোভ আর অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। আর এ নিয়ে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা দুষছেন একে অপরকে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে ভোলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে আনতে মনিটরিং দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
বাজার ঘুরে জানা গেছে, দেশব্যাপী কারফিউ, এতে অস্বাভাবিক ভোলার কাচা বাজারে নিত্যপণ্যের বাজার। ৪-৫ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম।
বিশেষ করে আলুর কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, কাচামরিচ ৭০ টাকা বেড়ে ৩২০, পেঁয়াজ ১৫ টাকা বেড়ে ১১০ এবং আদা ২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও শসা, পোটল, গাজর ও বেগুন বেশিরভাগ সবজি দাম গড়ে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এমন চিত্র ভোলার কাচা বাজারের। প্রতিদিনিই কোনো না কোনো নিত্যপণ্যের দাম গড়ে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়ছে। বাজার করতে এসে হতাশা প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
বাজার করতে আসা গিয়াস উদ্দিন, লাবলু ও মোশারেফ বলেন, কারফিউ এর সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম হাঁকাচ্ছেন। বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এমন অবস্থায় বাজার মনিটরিংয়ের দাবি করেন তারা।
তবে বাজারে পণ্য দাম বাড়ার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট জবাব না থাকলেও পরিবহন বন্ধ থাকায় দাম বাড়ার কথা জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
ভোলা কাচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, কাচা মাল পচলশীল দ্রব্য। তবে ক্রেতা কম থাকায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। তবে নিত্যপণ্যের দাম তেমন বাড়েনি।
চলমান পরিস্থিতির মধ্যেও নিয়মিত মনিটরিং চলছে বলে জানান ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান। তিনি বলেন, সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দেশের চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কারফিউ পুরোপুরি শিথিল চান ভোলার মানুষ।