চুলের ভলিউম বাড়াতে অনেকেই চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নেন। এতে ক্ষণিকের জন্য চুলের ভলিউম বাড়লেও হিতে বিপরীতটাই বেশি হয়।কারণ চিরুনি দিয়ে ভলিউম বাড়ালে চুল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভাঙা চুলের ঝড়ে পড়ার হারও বেশি। এতে চুল আরও বেশি পাতলা হয়ে যায়। এর চেয়ে বরং ভলিউম বাড়াতে চুলের কাটের ধরন বদলে ফেলতে পারেন। শর্ট লেয়ার কাট অথবা ভলিউম লেয়ার কাট বেছে নিন। এমন কাটে চুলের ঘনত্ব বেশি দেখায়।
আপনি নিয়মিত যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেটা বদলেও চুলের ভলিউম বাড়াতে পারেন। সাধারণ শ্যাম্পুর পরিবর্তে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। ড্রাই শ্যাম্পু মাথার ত্বকের তেল দূর করতে সাহায্য করে। ফলে চুলের গোড়ায় অতিরিক্ত ভলিউম সৃষ্টি হয়।
এটা নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। কেননা চুলের গোড়ায় তেল জমলে এমনিতেই চুলের ভলিউম কম দেখায়।
কম সময়ে চুলে ভলিউম আনতে চুলের গোড়ার দিকের একটু হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। খেয়াল রাখবেন, বেশি ভালোর আশায় অতিরিক্ত স্প্রে যেন না হয়।
মাথার চুল পাতলা হলে তার প্রভাব পড়ে সিঁথিতেও।
সিঁথির স্থানটুকু বেশি ফাঁকা দেখায়। এ থেকে মুক্তি পেতে ছোট্ট ব্রাশের সাহায্যে গাঢ় ছাইরঙা আইশ্যাডো সিঁথির স্থানে লাগিয়ে নিন। এতে চুলের ভলিউম বেশি দেখাবে এবং সিঁথিও দেখতে খারাপ লাগবে না।
নিয়মিত চুলের যত্ন-আত্তিও নেওয়া উচিত। মাসে দুবার চুলের আগা সামান্য কেটে ফেলা ভালো। এতে আগা ফাটা সমস্যা কম হয়। আগা ফেটে গেলেও ভলিউম কম দেখায়। চুলের যত্নে নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
এছাড়া চুল যেন ঝড়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ক্যাস্টর অয়েল চুলের গোড়া মজবুত করে।
সপ্তাহে এক দিন নারকেল তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে কুসুম গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। সারা রাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে নিন।
প্রাকৃতিক ভলিউম পাবেন চুলে। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান, পুষ্টিকর খাবার ও নিয়মিত ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।