এ মাসের শুরুর দিকে শারমীন সুলতানা সুমীর নেতৃত্বে কানাডায় উড়াল দেয় চিরকুট। উদ্দেশ্য দেশটির কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে স্টেজ শোতে অংশ নেওয়া। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে নির্ধারিত সব শো। সবাই মিলে যখন ফেরার ক্ষণ গুনছিলেন, তখন শুনতে পান দেশে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনের খবর। এর মধ্যে যে এয়ারলাইনসের মাধ্যমে চিরকুট সদস্যদের ঢাকায় ফেরার কথা, সেই এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইট বাতিল করে। তাই বাধ্য হয়ে আপাতত ঢাকায় আসার সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে কথা হয় চিরকুট সদস্য পাভেল আরীনের সঙ্গে। তিনি জানালেন, ‘দেশে কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না। কী হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। সুমী আপার তো ভীষণ মন খারাপ। কান্নাকাটিও করছেন। ফেরার জন্য খুব অস্থির হয়ে আছেন। অন্যদের মনের অবস্থাও ভালো না। কবে যে সবকিছু স্বাভাবিক হবে, কবে যে আমরা দেশে ফিরব। স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারব। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠুক।’
পাভেল আরীন এ–ও জানালেন, ‘কানাডায় দারুণ কয়েকটি স্টেজ শো করেছি। এত অসাধারণ সব শ্রোতা, আমাদের তো দুই হাত ভরে ভালোবাসা দিয়েছেন। এই ভালোবাসা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা, সাহস ও শক্তি। সেই ভালোবাসা নিয়ে যখন দেশে ফিরব, তখন দেশের এমন অবস্থায় মনটা বিষণ্ণ হয়ে গেল। এর মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন। যৌক্তিকভাবে সবকিছুর সমাধান হোক।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে পথচলা ব্যান্ড চিরকুটের। এই সময়ে তারা উপহার দিয়েছে শ্রোতাপ্রিয় গানও। ব্যান্ডের বাইরে চলচ্চিত্র, নাটকের গানেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে গানের দলটি।