কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীদের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তাঁরা বিচার দাবি করেছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি দ্রুত মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষকেরা।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা এসব দাবি ও আহ্বান জানান। এ সময় তাঁদের মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। এদিকে ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবনের সামনে নারী শিক্ষকেরাও একই দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় তাঁদের হাতে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডও ছিল।
নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকসমাজের ব্যানারে বক্তব্য দেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আখতার হোসেন ও বুলবুল আহমেদ, যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. ওয়াহেদুল ইসলাম প্রমুখ। অন্যদিকে নারী শিক্ষকদের কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তামান্না তাসনীম।
বক্তারা বলেন, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও যৌক্তিক আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। শুরু থেকেই গোছালো ও শান্তিপূর্ণ ছিল কর্মসূচিগুলো। সরকারের পক্ষ থেকেও এই আন্দোলন যৌক্তিক বলে বিভিন্ন সময়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার ও তাদের দল এটাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছে। একপর্যায়ে আলোচনা না করেই চড়াও হয়েছে।
তাঁরা আরও বলেন, পত্রপত্রিকায় এসেছে ৩১ থেকে ৩৭ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এই হিসাব আরও বেশি হবে। শিক্ষার্থীদের কেন প্রাণ দিতে হবে? এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ক্যাম্পাসে আর এসব নোংরা রাজনীতি তাঁরা হতে দেবেন না।