যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে জো বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে। নতুন করে এ আহ্বান জানিয়েছেন তাঁর দল ডেমোক্রেটিক পার্টির আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। তবে প্রকাশ্যে নয়, নিজেদের মধ্যে এক বৈঠকে বিষয়টি তুলেছেন তাঁরা। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও সিবিএসসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফরিসের সঙ্গে ওই বৈঠকে অংশ নেন দলটি থেকে নির্বাচিত কয়েকজন কংগ্রেস সদস্য। তাঁদের মধ্যে জেরি নাডলার, মার্ক টাকানো ও অ্যাডাম স্মিথ নির্বাচন থেকে বাইডেনের সরে যাওয়ার পক্ষে মত দেন। জ্যেষ্ঠ নেতা জো মোরেলে ও জিম হিমেসও এতে সায় দিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
ডেমোক্রেটিক দলের নেতাদের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গতকাল রোববার। এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন কয়েকজন জানিয়েছেন, বৈঠকে উপস্থিত অন্য দলনেতারাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেনের জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো তাঁরা প্রকাশ্যে কিছুই বলেননি।
৮১ বছর বয়সী বাইডেন আগামী নির্বাচনে কতটা সফল হবেন, সে প্রশ্ন আগেই ছিল। গত মাসের শেষের দিকে নির্বাচনী বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর তাঁর বয়স ও শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আরও জোরদার হয়। তখন থেকে নির্বাচনে বাইডেনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। দিন গড়ানোর সঙ্গে সেই আলোচনা আরও জোরদার হয়েছে।
এরই মধ্যে গত সপ্তাহে প্রথম ডেমোক্র্যাট নেতা হিসেবে বাইডেনের প্রতি সমর্থন তুলে নিয়ে তাঁকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান লয়েড ডগেট। প্রায় একই সময়ে বাইডেনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাঁর দলের অন্যতম প্রধান অর্থদাতা ডিজনি পরিবার। এ তালিকায় পরে আরও কয়েকজন নেতা ও অর্থদাতা যুক্ত হয়েছেন।
তবে যে যা–ই বলুক, বাইডেন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন থেকে সরবেন না তিনি। সম্প্রতি এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, একমাত্র ঈশ্বর চাইলেই কেবল নির্বাচন করবেন না তিনি। তিনি যে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্বাচন করার জন্য সক্ষম, সে সাফাইও বারবার গেয়েছেন।
ডেমোক্রেটিক দলে এই সংকটের মধ্যে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সুযোগ পেলে বাইডেনকে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না তিনি। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, বাইডেন ভেঙে পড়েছেন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।