স্বামীর সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়া তো দূরের কথা, সাংসারিক কাজের বাইরে কথা বলাও যেন অন্যায়। আর নিজের জন্য সময়, রূপচর্চা, সাজগোজ, ক্যান্ডেল নাইট ডিনার, সিনেমা দেখা অথবা ছুটিতে পরিবারের সবাই মিলে নীলগিরি বা কক্সবাজার এসব তো ছিল দিবাস্বপ্ন…
দিন পাল্টেছে এখন নারীরা অনেক বেশি স্বাধীন, শিক্ষিত আর সচেতন।আমরা পরিবার এবং কাজের জায়গা একসঙ্গে সামলে রাখছি।
আমাদের সন্তানরাও ক্লাসে ভালো রেজাল্ট করছে, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গেও থাকছে নিয়মিত যোগাযোগ, মাত্র ১০ মিনিটের নোটিশে তৈরি হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছি বন্ধুর দাওয়াতে।
সব কিছুর পেছনে রয়েছে শুধু মানসিক শক্তি আর উদ্যোম। ভালো থাকার এবং ভালো রাখার মানসিকতা। তবে সবার আগে নিজের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। পরিবারের দায়িত্ব আমাদের, সেই সঙ্গে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ পদও সামলে যেতে হয় সমান তালে। এজন্য নিতে হবে নিজের যত্ন।
সন্তান হয়েছে বলে আমার জীবনের সব চাওয়া পাওয়া শেষ, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। সন্তান অবশ্যই জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকবে। তবে নিজের চাওয়া স্বামীর সঙ্গ তার সঙ্গে বন্ধুত্ব এগুলো দূরে সরিয়ে রাখলে নিজেদের দাম্পত্য জীবন রোবটের মতো হয়ে যাবে। শুধু বাজার করা রান্না করার মধ্যে জীবন সীমাবদ্ধ করে ফেলবেন না।
সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই শেখান সংসারে সবার মধ্যেই বন্ধুত্বের একটি সম্পর্ক থাকে। এটা আপনার জীবন যেমন সুন্দর করবে আপনার সন্তানের মধ্যেও পরিবার সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা তৈরি হতে সাহায্য করবে।
বয়স হয়ে যাচ্ছে এখন আর রূপচর্চা, শরীরচর্চা করে কী হবে…এটা ভাবলে চলবে না। শরীরের যত্ন নিতে হবে, থাকতে হবে সুস্থ, সুন্দর, হাসিখুশি এবং একদম ফিট।
সারা সপ্তাহ কাজে ব্যস্ত থাকার পর ছুটির দিনে স্বামী সন্তান নিয়ে একবেলা বাইরে ঘোরার প্ল্যান রাখুন, কেনাকাটা, বাইরে খাওয়া, সিনেমা দেখা যেকোনো কিছু…